নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদের সভাপতিত্বে রোববার (০৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার ভাঙন কবলিত ঘাট রক্ষার্থে অতিরিক্ত বরাদ্দ সংক্রান্ত বৈঠকে এতথ্য জানানো হয়।
সভায় জানানো হয় যে, বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ও এর সংলগ্ন অংশের প্রতিরক্ষামূলক কাজ এবং ফেরিঘাটগুলো পুনঃনির্মাণের লক্ষ্যে এ অর্থবছরে প্রায় ১১ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চেয়েছে।
প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে নতুনভাবে আটটি ফেরিঘাট, দৌলতদিয়ায় ছয় কিলেমিটার এবং পাটুরিয়ায় দুই কিলেমিটার নদী তীর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ। যা ঘাটগুলোতে লো-ওয়াটার, মিড-ওয়াটার ও হাই-ওয়াটার লেভেলে স্থাপন করা হবে। আট কিলোমিটার নদী তীর রক্ষায় ৬৮০ কোটি টাকার প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে। কাজটি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং ফেরিঘাট স্থাপনের কাজটি বিআইডব্লিউটিএ করবে।
প্রকল্পটির অনুমোদন পাওয়ার পর ফেরিঘাট স্থাপন ও নদী তীর রক্ষার কাজ দ্রুত শুরু করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
সভায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকার ভাঙনকবলিত ঘাটগুলোর ভাঙনরোধে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংস্থা) অনল চন্দ্র দাসকে কমিটির আহ্বায়ক করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. মোতাহার হোসেন, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম), সেন্টার ফর এনভারমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস) এবং বিআইডব্লিউটিএ’র প্রতিনিধি কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ চলতি বছর দৌলতদিয়ায় ফেরিঘাট রক্ষায় ৫২ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে তিন কোটি টাকা। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবছর জুনে ৪২ হাজার ও অক্টোবরে এক লাখ ১০ হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং করেছে। এজন্য ব্যয় হয়েছে সাত কোটি টাকা। উক্ত এলাকায় নদী তীর রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে এপর্যন্ত ১৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. মোতাহার হোসেন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম, রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস