ধসে পড়া ভবনটির বিষয়ে এমনই অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
রোববার (০৩ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের মুন্সীবাড়ি এলাকার এইচ এম ম্যানশন ভবনটি ধসে পড়ে শোয়েব (১২) নামে ষষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।
ভবনটি স্থানীয় মৃত আব্দুর রউফ মিয়ার চার সন্তান মিলে নির্মাণ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। স্থানীয় রুবেল নামে একজন দাবি করছেন, তার সন্তান ভবনটির এক মহিলা আররি পড়ান, তার এখানে পড়তে এসে ভেতরে আটকে পড়েছেন। তার নাম ওয়াজিদ (১২)।
এরইমধ্যে ভবন থেকে সবাইকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ভবন ধসে আহত হয়েছেন পাঁচ জন। ভেতরে আর কেউ নেই বলে ধারণা করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা, যদিও অভিযান সমাপ্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা নিশ্চিত করতে রাজি নন।
স্থানীয়রা জানান, ভবনটি মূলত একটি ডোবার উপর নির্মাণ করা হয়েছিল। স্থানীয়রাও এ ব্যাপারে অনেকবার নিষেধ করেছিলেন। ভবনটির কোনো সয়েল টেস্ট কিংবা রাজউকের অনুমতি ছাড়াই নাকি পাইলিং ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছিল। ছিল না কোনো ফাউন্ডেশনও। ভবনটি তিনতলা পর্যন্ত করার পর সম্প্রতি চারতলার ছাদ ঢালাই দেওয়া হয়। আর এ লোড নিতে না পেরে রোববার ধসে পড়ে ভবনটি।
ঘটনার পর পরই দুর্ঘটনা এড়াতে এলাকার বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এতে সন্ধ্যার পর অন্ধকার নেমে এলে উদ্ধার অভিযান কিছুটা ব্যহত হয়। তবে উদ্ধার অভিযান পুরোদমে সক্রিয় রাখতে ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ লাইটের ব্যবস্থা করা হয়।
এদিকে আশেপাশের এলাকাবাসীসহ উৎসুক হাজার হাজার মানুষ ঘটনাস্থলে আসায় ভিড় সামলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলকে। পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে বার বার চেষ্টা করেও উৎসুক মানুষকে সরাতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
পরে এ অবস্থা নিরসনে আনসার ও পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন জানান, বিকেল ৪টায় হঠাৎ করে চারতলা নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়েছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের একাধিক টিম উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
জেডএস