রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে রাজাপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাসুদা বেগম বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ডোমনপুকুর গ্রামের মোকলেছার রহমানের মেয়ে।
জানা যায়, তিনি ঢাকা গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। ছুটিতে গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) বাড়ি এসেছিলেন। ছুটি শেষে রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকায় কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য শাহজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে ওঠেন। বাস ছাড়ার কিছু পর বগুড়া শেরপুর উপজেলার রাজাপুর নামক স্থানে পৌঁছালে অসাবধানতাবশত বাসের জানালায় রাখা মাসুদা বেগমের ডান হাত কেড়ে নেয় বিপরীতমুখী দ্রুতগতির একটি ট্রাক। শরীর থেকে তার হাতটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মাসুদার মা রাশেদা বেগম বাংলানিউজকে জানান, মাসুদা স্বামী পরিত্যক্তা। সে ঢাকা গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। দুই মেয়ে রীনা ও মিমকে নিয়ে ঢাকায় থাকেন মাসুদা। ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলো, ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ডান হাত হারানো মামুদা মুমূর্ষু অবস্থায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টায় উপজেলার ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে রাজাপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হাত হারানো মাসুদা বেগম রিজিয়া পরিবহনের একটি বাসে ছিলেন। তিনি বাসের পেছনের সিটে বসা ছিলেন। অসাবধানতাবশত তার হাত বাসের জানালার রাইবে রাখা ছিলো। বাসটি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসের পেছনের অংশের ঘষা লাগে। এতে শরীর থেকে মাসুদা বেগমের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
কেইউএ/ওএইচ/