প্রতিদিনই পুলিশের কাছে চিৎকার করে জিনিসপত্র ও চোরকে ধরে আনার অনুরোধ করছেন নিঃস্বরা। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পুলিশ জানায়, হাসপাতালের ভেতরে পুলিশের কোনো ডিউটি নেই।
রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে মূত্রে সংক্রমণজনিত কারণসহ নানা সমস্যা নিয়ে চাঁদপুরের শাহরাস্তি থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন লিজা (২৪) নামে এক নারী। জরুরি বিভাগে এসেই সঙ্গে থাকা ব্যাগটি হারান তিনি। এতে কাপড় ছাড়াও ছিল চিকিৎসার ২০ হাজার টাকা। ব্যাগ হারিয়ে এদিক-সেদিক ছুটতে দেখা যায় লিজাকে।
এগিয়ে গেলে তিনি বাংলানিউজকে জানান, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসে এক নম্বর রুমের সামনে ট্রলির ওপর ব্যাগটি রেখেছিলেন তিনি। এসময় এক যুবক তার ব্যাগ পাহারা দেওয়ার কথা বললে সরলমনেই টিকিট কাটতে যান তিনি। এসে তার ব্যাগেরও হদিস পাননি, পাননি ওই যুবকের হদিসও।
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে কমলা বেগম তার ক্যান্সার আক্রান্ত স্বামীকে নিয়ে ঢামেকে আসেন চিকিৎসার আশায়। ক্যান্সার বিভাগে সিট খালি নেই জানিয়ে তাকে দু’দিন অপেক্ষা করতে বলেন চিকিৎসকরা। তাদের পরামর্শেই জরুরি বিভাগে স্বামীকে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন কমলা। বিকেলে দু’জন নারী ও এক যুবক এসে তাকে জানান, নতুন ভবনের সামনে দরিদ্রদের সাহায্য দিচ্ছেন এক বিত্তবান। বিশ্বাস করে তাদের সঙ্গেই নতুন ভবনের দিকে যান তিনি।
এমন সময় তার কানের সোনার দুল ও সঙ্গে থাকা টাকা রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেন ওই দুই নারী। কারণ কানে দুল থাকলে তাকে দরিদ্র বলে মনে হবে না। সেকথায় কমলা তাদের হাতে দুল ও টাকা দিয়ে এগোতেই দেখেন, ওই দুই নারী উধাও।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে ঢামেক হাসপাতালে পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, প্রায় সময়ই হাসপাতালে রোগী অথবা স্বজনদের মোবাইল বা টাকা চুরি হয়ে যায়। এসব অভিযোগ নিয়ে বক্সে যারা আসে, তাদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বলি।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, চুরির বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ দেখে চোরকে শনাক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
এজেডএস/কেএসডি/এইচএ/