রোববার (০৩ নভেম্বর) বিকেলে মুন্সীবাড়ি এলাকার এইচ এম ম্যানশন নামে ওই ভবনটি ধসে পড়ে। ভবনটির মালিক মৃত আব্দুর রউফ মিয়ার ৪ সন্তান।
স্থানীয় রুবেল নামে একজন বিকেল থেকেই দাবি করছেন তার সন্তান ভবনটির নীচতলায় এক মহিলা আরবী পড়ান, তার এখানে আরবী পড়তে এসে ভেতরে আটকে পড়েছেন। তার নাম ওয়াজিদ (১২)।
এদিকে রাত ১০টার দিকে ওয়াজিদের সঙ্গে আরবী পড়তে আসা ও বেঁচে ফেরা স্বপ্না ঘটনাস্থলে এসে ওয়াজিদের অবস্থান ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলকে দেখিয়ে দেয়। এতে উদ্ধারকারী দল সে অনুযায়ী উদ্ধার অভিযান জোরালো করে।
স্বপ্না জানায়, তারা একসঙ্গেই নীচতলায় ভাড়া থাকা সোনিয়ার বাসায় আরবী পড়েতে আসে। শোয়েব, স্বপ্না, ওয়াজিদসহ কয়েকজন আরবী পড়ে এখানে। যখন ধীরে ধীরে ভবনটি উল্টে একপাশে ডোবায় পড়ে যেতে থাকলো তখন তারা দৌড়ে বের হয়ে এলেও ওয়াজিদ বের হতে পারেনি। পরে আর বের হতে পেরেছে কী-না তা তারা জানেনা।
স্থানীয়রা জানান, ভবনটি মূলত একটি ডোবার উপর নির্মাণ করা হয়েছিল। সেখানকার মানুষরাও এ ব্যাপারে অনেকবার নিষেধ করেছিলেন। ভবনটি কোনো সয়েল টেস্ট কিংবা রাজউকের অনুমতি ছাড়াই নাকি পাইলিং ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছিল। ছিলনা কোনো ফাউন্ডেশনও। ভবনটি তিন তলা পর্যন্ত করার পরও লোড নিতে পারছিল না, কিন্তু সম্প্রতি ভবনটির চারতলার ছাদ ঢালাই দেয়া হয়। আর এ লোড নিতে না পেরে রোববার ধসে পড়ে ভবনটি।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন জানান, বিকেল ৪টায় হঠাৎ করে চারতলা নির্মাণাধীন একটি ভবন ধসে পড়েছে। এতে একজন নিহত হয়েছে। নিখোঁজ কেউ ভেতরে রয়েছে কী-না সেটি অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত না হওয়া যাবে যে সবাই উদ্ধার হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এসএইচ