সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের পর ভারতের সঙ্গে বন্ধ থাকা রেলরুটগুলো পুনরায় চালুর ঘোষণা দেওয়া আবারও আশা দেখছে দু’দেশের জনসাধারণ। সম্প্রতি ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে গত কয়েক বছর আগে এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল চালু করার দাবি জানিয়েছিলেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
বাদশা বাংলানিউজকে বলেন, সম্প্রতি ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী উত্তরবঙ্গের সাংবাদিকদের নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক সভায় বিষয়টির নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি আন্তরিকবভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এ রুট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে যাত্রীবাহী রেল যোগাযোগ চালু করার।
তিনি আরও বলেন, রুটটি চালু হলে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার জনসাধারণ সহজেই মালদহ হয়ে কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্নস্থানে যাতায়াত করতে পারবে। এছাড়া বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী স্টেশন রহনপুরে ইমিগ্রেশন কাস্টমস স্টেশন নির্মাণে রেলওয়ের পর্যাপ্ত জায়গা থাকায় সেখানে ওই ট্রেনের যাত্রাবিরতি এবং ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস সম্পন্ন হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার জনসাধারণ উপকৃত হবে। বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলের জনসাধারণের সঙ্গে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার জনসাধারণের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। তাই এ রুটটি চালু হলে দুই দেশের বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভারতের উত্তর মালদহ এলাকার লোকসভার সদস্য বিজেপির খগেন মুর্মু এ রুট দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে এ রুট দিয়ে নেপাল, ভারত হয়ে পণ্যবাহী ট্রেন পণ্য পরিবহন করে থাকে। যা দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে যথেষ্ট ভূমিকা রাখছে। আর পর্যটন শিল্প বিকাশে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে যদি এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এনটি