সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান।
এর আগে রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১০ জন সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের সঙ্গে দেখা করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মিম, সুপ্রিয়া, সারা, নিশা বলেন, আমরা স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ তন্ময় স্যারের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে আমাদের ক্লাসে ফিরতে বলেছেন। আমরা কাল থেকে ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব।
এদিকে কলেজের অধ্যক্ষ ড. এসএম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে সব অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম সরেজমিনে তদন্তে যান। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন।
শিক্ষকরা বলেন, মঙ্গলবার থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করবেন। জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে। আমরা তাদের সব তথ্য সরবরাহ করে সহযোগিতা করছি। আশাকরি সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
অধ্যক্ষ ড. এস এম রফিকুল ইসলাম বলেন, কলেজের সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। এখন থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই মিলে কলেজের উন্নয়নে কাজ করব। তদন্তের বিষয়ে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন তদন্ত করছে। তদন্তে প্রমাণ হবে কে অপরাধী, কে অপরাধী নয়।
জানা যায়, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বুধবার (৩০ অক্টোবর) বাগেরহাট সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ড. এস এম রফিকুল ইসলামের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অধ্যক্ষের অপসারণ না হলে কলেজের সব কার্যক্রম, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা, বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা। ৩০ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ক্লাস বর্জণ করে শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
আরএ