সোমবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বেনজীর আহমদের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি একথা বলেন।
এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট। তবে গ্রিডভিত্তিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৯ হাজার ৪২৮ মেগাওয়াট। এরমধ্যে সরকারিখাতে মোট ৯ হাজার ৭৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫৪টি ও বেসরকারিখাতে ৮ হাজার ৫২৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে এবং এক হাজার ১৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।
বতর্মানে (২০১৮-১৯ অর্থবছর) সরকারি ও বেসরকারি উভয়খাতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় ৬ দশমিক শূন্য ১ টাকা এবং গড় বাল্ক বিক্রয় মূল্য ৪ দশমিক ৮০ টাকা।
বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় ছিল ৬ দশমিক ২৫ টাকা এবং গড় বাল্ক বিক্রয় ছিল ৪ দশমিক ৮২ টাকা। বর্তমানে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় কিছুটা হ্রাস পেলেও বিক্রয়মূল্যের চেয়ে উৎপাদন ব্যয় অনেক বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদ্যুতের উৎপাদন ও বিক্রয়মূল্যের মধ্যে অসামঞ্জস্যতার কারণে সরকার বিদ্যুৎখাতে প্রায় সাত হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা বাজেটারি সার্পোট দিয়েছে। ফলে বিদ্যুতের মূল্য কমানোর কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই।
আরও পড়ুন>>> ‘গ্রীষ্মকালে বিদ্যুতের গড় চাহিদা প্রায় ১৩ হাজার মেগাওয়াট’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এসকে/এসই/জেডএস