সোমবার (১১ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের অধিবেশনকালে প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপির সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে গ্রীষ্মকালীনে বিদ্যুতের গড় চাহিদা প্রায় ১৩ হাজার হাজার মেগাওয়াট। ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ দেশে বিদ্যুতের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ২২ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট। ফলে দেশে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুত উৎপাদিত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ’ সুবিধা ও ভবিষ্যত বিদ্যুৎ চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়েছ। মোট ১৫ হাজার ৯৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এছাড়া মোট ৩ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সে সব বিদ্যুৎ কেন্দ্র ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।
‘এর বাইরে মোট ১ হাজার ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এগুলো ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রম চালু হবে। অন্যদিকে মোট ১৯ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারতের দুটি জায়গা থেকে ১ হাজার ৮৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ আমদানী কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। যা ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে শুরু হবে। ’
নসরুল হামিদ বিপু আরও জানান, এসবের বাইরেও পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পরমাণু শক্তি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এবং আঞ্চলিক সহযোগীতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ আমদানী কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে (২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের গড় উৎপাদন ব্যয় ৬.০১ টাকা। পাশাপাশি বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিগত দশ বছরে ছয়বার (২০১১, ২০১২, ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৭ সাল) বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এসকে/এসই/এইচজে