উপজেলার গোবদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমানের পক্ষে লালমনিরহাট জজকোর্টের অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটন এ লিগ্যাল নোটিস পাঠান।
লিগ্যাল নোটিসে জানা গেছে, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোবদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রুটিন মেইনটেন্যান্সে ৪০ হাজার এবং স্লিপ প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার।
এদিকে অর্থ বছর শেষ হওয়ার ৫ মাস অতিবাহিত হলেও বিল না পেয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে আদালতের আশ্রয় নেন বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান। সরকারি অর্থ আত্মসাৎ মামলা করতে বিধিমতে প্রথমে অভিযুক্তকে লিগ্যাল নোটিস পাঠান তিনি।
লালমনিরহাট জজকোর্টের অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটনের মাধ্যমে গত ৬ নভেম্বর স্বাক্ষরিত একটি লিগ্যাল নোটিস শিক্ষা অফিসার বরাবরে পাঠানো হয়। যেখানে নোটিস প্রাপ্তির তিন কর্মদিবসের মধ্যে আত্মসাৎকৃত দুই প্রকল্পের ৯০ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব নম্বরে দিতে বলা হয়। অন্যথায় সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার অপরাধে কেন দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করা হবে না তার উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
লালমনিরহাট জজকোর্টের অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান লিটন বাংলানিউজকে বলেন, বিধিমতে কাজ শেষে হলে অর্থ বছর শেষ হওয়ার আগে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব নম্বরে টাকা পাঠানোর কথা। কিন্তু শিক্ষা অফিসার তা না করে সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে। নোটিসের সন্তোষজনক জবাব না পেলে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি।
আদিতমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনএম শরীফুল ইসলাম খন্দকার লিগ্যাল নোটিস প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করলেও অর্থ আত্মসাৎ প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
আরএ