বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শ্যামল কান্তি দাস।
এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৫ জন নিহত ও আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতদের নাম-পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
জানা যায়, সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা করা ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী ‘তূর্ণা নিশীথা’কে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছিল। এসময় উদয়নের অর্ধেক বগি অন্য লাইনে ঢোকার পর বাকি বগিগুলোতে তূর্ণা নিশীথা ধাক্কা দেয়। এতে দু’টি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বাংলানিউজকে জানান, মৃতদের মধ্যে নয়জন ঘটনাস্থলে, সদর হাসপাতালে দুইজন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন এবং কুমিল্লা সদর হাসপাতালে একজন মারা যান।
মন্দবাগ রেলস্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, আউটার ও হোম সিগন্যালে লালবাতি (সর্তক সংকেত) দেওয়া ছিল। কিন্তু, তূর্ণার নিশীথার চালক সিগন্যাল অমান্য করে ঢুকে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তূর্ণা নিশীথার যাত্রী কাজী ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, উদয়ন এক্সপেস ঢোকার আগেই বিপরীত দিক থেকে আসা তূর্ণা নিশীথা এসে ধাক্কা দেয়। এতে তিনটি বগি ছিটকে পড়ে। আমরা সেসময় ঘুমিয়ে ছিলাম। দুর্ঘটনার পর দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে যাই।
মন্দবাগ এলাকার বাসিন্দা মো. সালাম বাংলানিউজকে বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি কান্নার শব্দ। এখানে-সেখানে ছিটকে পড়ে আছে নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের মরদেহ। এলাকার সবাই বেরিয়ে আহতদের উদ্ধারের চেষ্টা করি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
একে