ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চালকের ভুলেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
চালকের ভুলেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ট্রেন। ছবি: বাংলানিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেলস্টেশনের ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি চালকের ভুলের কারণেই ঘটেছে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা।

মন্দবাগ রেলস্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, আউটার ও হোম সিগন্যালে লাল বাতি (সর্তক সংকেত) দেওয়া ছিল। কিন্তু তুর্ণার নিশীতার চালক সিগন্যাল অমান্য করে ঢুকে পড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জেলা প্রশাসক হায়াৎ উদ-দৌলা খানও এ কথা জানিয়েছেন।

ট্রেনের ভেতরে থাকা তুর্ণা নিশীতার যাত্রী কাজি ফজলে রাব্বি বাংলানিউজকে বলেন, উদয়ন এক্সপেস অন্য লাইনে ঢোকার আগেই বিপরীত দিক থেকে এসে তুর্ণা নিশীতা ধাক্কা দেয়। এতে তিনটি বগি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এ সময় আমরা ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলাম। তাড়াতাড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে পড়ি।

উদয়ন এক্সপ্রেসের যাত্রী নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ট্রেনটি লাইন ক্রস করছিল। ওই সময় দ্রুত গতিতে এসে তুর্ণা নিশীতা ট্রেনটিকে  ধাক্কা দেয়। আমি সামনের বগিতে থাকায় হতাহত হয়নি। পেছনে ঝ, ঞ, বগিসহ আরেকটি বগির যাত্রীরা বেশি আহত হয়। আমরা সবাই ট্রেন থেকে নেমে আহতদের উদ্ধার করার চেষ্টা করি।

মন্দবাগ এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মো. সালাম বলেন, আমরা গভীর রাতে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনতে পাই। ঘর থেকে বের হয়ে দেখি কান্নার শব্দ। এখানে সেখানে ছিটকে পড়ে আছে নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের মরদেহ। এলাকার সবাই বেড়িয়ে আহতদের উদ্ধার করার চেষ্টা করি।

সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী ‘তুর্ণা নিশীথা’র সঙ্গে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা করা ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।