সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বাংলানিউজকে জানান, মৃতদের মধ্যে নয়জন ঘটনাস্থলে, সদর হাসপাতালে তিনজন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন এবং কুমিল্লা সদর হাসপাতালে একজন মারা যান।
জানা যায়, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি তূর্ণা নিশীথাকে সাইড দিচ্ছিলো। তখন উদয়ন ট্রেনের অর্ধেক বগি অন্য লাইনে ঢোকার পর বাকি বগিগুলোতে তূর্ণা নিশীথা ধাক্কা দেয়। এতে দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সর্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক তানহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কান্তি দাস বাংলানিউজকে জানান, দুইটি ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হতাহতদের উদ্ধারে স্থানীয়রাসহ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার শফিক তুহিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন দুইটি উদ্ধার করতে কুমিল্লার লাকসাম ও আখাউড়ার রেলওয়ে জংশন থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে এসেছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত ৩টার দিকে উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী ‘তূর্ণা নিশীথা’র সঙ্গে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা করা ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১৬ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক।
** কসবায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত ১৫
** কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি
** সকাল ১১টার পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে পূর্বাঞ্চলে
** দুর্ঘটনায় চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ
** চালকের ভুলেই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৯
আরএ