সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ডায়লগ অন অ্যাকশন আগাইনস্ট সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স’ শীর্ষক আলোচনায় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার বলেন, ধর্ষণের একটি মামলা করার জন্য যখন একজন ভিকটিম থানায় যান তখন দেখা যায় বিভিন্ন সময়ে তদন্ত করতে গিয়ে ওই থানাতেও তিনি আরও একবার ধর্ষণের শিকার হন।
সভায় আরও অংশগ্রহণ করেন আইন ও বিচার বিভাগের অতিরিক্ত জেলা জজ এসএম নাহিদা নাজমিন এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন।
সভায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজেক্ট ডিরেক্টর ডা. আবুল হোসেন।
সভায় ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, একটি ধর্ষণের মামলা প্রস্তুতির জন্য আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু দুপুর ২টার পরে কোনো সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। এজন্য অনেক সময়ই মামলার প্রস্তুতিতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। তারপরেও আমরা সব সময় চেষ্টা করি এই ধরনের সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধানের জন্য।
নাহিদা নাজমিন বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি ধর্ষণ ও নির্যাতন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য। মামলার রায়ের বিষয়গুলো যদি আমরা সবার সামনে পরিষ্কার করতে পারি তাহলে সচেতনতা আরও বাড়বে।
সভায় বক্তারা বলেন, যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন আরও বাড়ানো এবং তা অব্যাহত রাখা, নারীদের চুপ করে না থেকে কথা বলা, চিকিৎসক এবং নার্সদের আলাদা প্রটোকলসহ ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে সচেতন হতে পারাটাই সব থেকে বড় ব্যাপার।
আরও পড়ুন>
ইজি টার্গেট হওয়ায় শিশু-ধর্ষণ বেশি
বংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এইচএমএস/আরআইএস/