ঢাকা, বুধবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হলি আর্টিজান হামলার ‘নীল নকশা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
হলি আর্টিজান হামলার ‘নীল নকশা’

ঢাকা: ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ঘটে যায় দেশের ইতিহাসের জঘন্যতম জঙ্গি হামলা। কূটনৈতিক পাড়াখ্যাত গুলশানের রেস্তোরাঁতে ভয়াবহ এ হামলায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, প্রায় ১২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস জিম্মির ঘটনা স্তম্ভিত করেছিল পুরো জাতিকে।

১ জুলাই রাত থেকে পরদিন (২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত এ জঙ্গি হামলায় পুলিশের দুই কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হন। ২ জুলাই সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত ‘অপারেশন থান্ডারবোল্টে’ নিকেশ হয় হামলাকারী পাঁচ জঙ্গি।

দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে তদন্তের পর ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই এ মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। অবশেষে বিচার শুরুর এক বছরের মধ্যেই বুধবার (২৭ নভেম্বর) আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছেন আদালত।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দীর্ঘ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে গুলশান হামলার ‘নীল নকশা’। প্রায় দেড় বছর আগে পরিকল্পনা ও দীর্ঘ প্রস্তুতি শেষে নৃশংস এ হামলা সরাসরি বাস্তবায়নে দায়িত্ব দেওয়া হয় আত্মঘাতী পাঁচ জঙ্গিকে। যদিও হামলার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে হলি আর্টিজানকে বেছে নেওয়া হয় হামলার দুই সপ্তাহ আগে, আর হামলাকারী দলটি তাদের লক্ষ্যস্থল সম্পর্কে জানতে পারে হামলার মাত্র তিন-চারদিন আগে।

আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে জেএমবির একটি গ্রুপ বিদেশিদের ওপর হামলার সিদ্ধান্ত নেয় ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে। পরে ‘নব্য জেএমবি’ নামে পরিচিতি পাওয়া এ গ্রুপটির কথিত শুরা কমিটি গাইবান্ধার সাঘাটায় বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেয়।

হামলার পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ ও বাস্তবায়নের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, তাদের ১৩ জন পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছেন। বাকি আটজন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হলি আর্টিজানে হামলার পেছনে জঙ্গিদের তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। প্রথমত, কূটনৈতিক এলাকায় হামলা করে নিজেদের সামর্থ্য জানান দেওয়া, দ্বিতীয়ত, বিদেশি হত্যা করে নৃশংসতার প্রকাশ ঘটানো এবং তৃতীয়ত দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পাওয়া।

মামলার তদন্ত এবং বিভিন্ন সময় গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে একের পর এক বিদেশি নাগরিক, খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী, হিন্দু পুরোহিত, শিয়া অনুসারীকে হত্যা, শিয়া ও আহমদিয়া মসজিদে হামলার মধ্য দিয়ে আলোচনায় আসে নব্য জেএমবি। এরই ধারাবাহিকতায় নব্য জেএমবি রাজধানীতে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করে।

২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে নব্য জেএমবি শুরা কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে নব্য জেএমবির প্রধান সংগঠক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম আহমেদ চৌধুরী ঢাকার কূটনৈতিক এলাকায় বড় ধরনের হামলার প্রস্তাব করেন। পরে হামলার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করে শুরা কমিটি। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, হামলার মূল সমন্বয়ক হবেন তামিম চৌধুরী।

শুরা কমিটি হামলার প্রস্তাব অনুমোদন করার পর হামলার জন্য পাঁচজন ইসাবা (আক্রমণকারী) বাছাই করার জন্য নব্য জেএমবির তখনকার সামরিক কমান্ডার শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তারা সিদ্ধান্ত নেয়, ঢাকার কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আক্রমণ করতে গেলে অবশ্যই ঢাকায় বসবাসরত কাউকে লাগবে।

তখন নব্য জেএমবির ঢাকার সামরিক কমান্ডার আবু রায়হান ওরফে তারেক কথিত হিজরতে থাকা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, স্কলাসটিকার ছাত্র মীর সামেহ মোবাশ্বের, মোনাশ ইউনিভার্সিটির মালয়েশিয়া ক্যাম্পাসের ছাত্র নিবরাস ইসলামকে প্রস্তাব করেন। আর উত্তরবঙ্গের কমান্ডার রাজীব গান্ধী অপারেশনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত নিষ্ঠুরতা ধরে রাখতে অনেক খুনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বগুড়ার শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েলকে প্রস্তাব করেন।

এই পাঁচজনসহ বেশ কয়েকজন কথিত হিজরতে বাড়ি ছেড়ে তখন ঝিনাইদহ, বগুড়া, গাইবান্ধা, পাবনায় জঙ্গিদের ভাড়া বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বাড়ি ছাড়ার পর এসব তরুণদের বিভিন্ন জঙ্গি আস্তানায় রেখে জঙ্গিবাদের বিষয়ে তাত্ত্বিক দীক্ষার পাশাপাশি বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়। গুলশান হামলায় জড়িত পাঁচজনকে দিয়েও বিভিন্ন সময় ঝিনাইদহ, টাঙ্গাইল ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হিন্দু পুরোহিত, ধর্মান্তরিত খ্রিস্টান, শিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে হত্যা করানো হয়।

এভাবে তাদের মানুষ খুনে অভ্যস্ত করা হয়। পরে তাদের বোঝানো হয়, জিহাদ করতে সিরিয়ায় যাওয়ার দরকার নেই। দেশেও অনেক কাজ আছে। ২০১৬ সালের মে মাসের শুরুতে গুলশান হামলার জন্য নির্বাচিত পাঁচজনকে মারজানের কাছে পাঠান কথিত সামরিক কমান্ডার খালিদ। মারজান তাদের নিয়ে যান গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ফুলছড়ি চরে।  

সেখানে ক্যাম্প করে তাদের ২৮ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ছিলেন প্রধান প্রশিক্ষক। তিনি একে-২২ রাইফেল ও পিস্তল চালানোর প্রশিক্ষণ দেন।

হামলার জন্য অস্ত্রও বিস্ফোরক সংগ্রহ করতে নব্য জেএমবির রাশেদ ওরফে র‌্যাস ও সাগরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাশেদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে মে মাসে চারটি পিস্তল এনে ছোট মিজানকে দেন। তিনি আমের ঝুড়িতে করে এসব অস্ত্র ঢাকায় এনে বাশারুজ্জামানকে দেন। বাশারুজ্জামান পৌঁছে দেন মারজানের কাছে। একইভাবে সাগর ও ছোট মিজান পাঁচটি একে-২২ রাইফেল একই সীমান্ত দিয়ে আনেন। ভারত থেকে এসব অস্ত্র সংগ্রহে সহায়তা করেন বড় মিজান। মে মাসে যশোরের চৌগাছা সীমান্ত দিয়ে হামলায় ব্যবহৃত বোমা আনেন সাগর। হামলা পরিচালনার জন্য ২৮ জুন তামিম বিদেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনেন।

মে মাসের মাঝামাঝি বাশারুজ্জামানকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কূটনৈতিক এলাকার কাছাকাছি বাসা ভাড়া করতে। তিনি নব্য জেএমবির আরেক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা তানভীর কাদেরিকে নিয়ে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করেন।  

একই সময় ২০১৬ সালের ১ জুন শেওড়াপাড়ায়ও একটি বাসা ভাড়া করা হয়। এটিকে জঙ্গিরা অপারেশনের কথিত ‘কন্ট্রোলরুম’ বানান। গুলশান হামলার শুরুর আগে তামিম ও মারজান সেখানে গিয়ে ওঠেন এবং সেখান থেকে পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এছাড়া পল্লবীর রূপনগরে ও নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় আরও দু’টি বাসা ভাড়া করা হয়।

২০১৬ সালের ১ জুন তানভীর সপরিবারে ভাটারার বাসায় ওঠেন। ৭ জুন ওই বাসায় ওঠেন বাশারুজ্জামান। পরদিন ৮ জুন গুলশান হামলার পাঁচ জঙ্গিকে নিয়ে সেখানে ওঠেন মারজান ও তার স্ত্রী। ১১ জুন আসেন তামিম চৌধুরী। তখনো হলি আর্টিজানকে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করা হয়নি। কয়েকদিন পর মারজান পাঁচটি ব্যাগ (ব্যাকপ্যাক) নিয়ে আসেন। তাতে পিস্তল, একে-২২ রাইফেল, চাপাতিও বোমা ছিল। ১ জুলাই পর্যন্ত ওই বাসায় তারা সবাই অবস্থান করেছেন।

জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল গুলশান-বনানী এলাকার কোথাও হামলা চালানো। সিদ্ধান্ত হয়, হামলার জন্য এমন স্থান বেছে নিতে হবে, যেখানে একসঙ্গে বেশি সংখ্যক বিদেশি নাগরিক সমবেত হন ও সিসি ক্যামেরা নেই। সে অনুযায়ী, জুনের মাঝামাঝি থেকে লক্ষ্যবস্তু চূড়ান্ত করতে গুলশান এলাকার বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ রেকি শুরু করে জঙ্গিরা। একপর্যায়ে জঙ্গিরা হলি আর্টিজানকে বাছাই করেন। কারণ তারা নিশ্চিত হন, হলি আর্টিজানে অনেক বিদেশি খেতে আসেন এবং এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢিলেঢালা। এছাড়া, হলি আর্টিজানের পেছনে লেক। হামলার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কেবল সামনের দিক থেকে মোকাবিলা করতে হবে।

ঘটনার তিন-চারদিন আগে হামলাকারী দলটিকে জানিয়ে দেওয়া হয় হলি আর্টিজানই হচ্ছে তাদের টার্গেট। নিবরাস, রোহান ও মোবাশ্বের আগে থেকে এই বেকারি চিনতেন। তামিমের নির্দেশে ২৭ জুন সন্ধ্যার পর রোহান ও নিবরাসকে নিয়ে মারজান হলি আর্টিজান রেকি করেন। পরদিন সন্ধ্যায় আবার বাশারুজ্জামান, খায়রুল ও শফিকুল রেকি করেন। এরপর ২৯ জুন তামিম, রোহানও মোবাশ্বের সন্ধ্যার পর বের হন এবং হলিআর্টিজান রেকি করেন। এরপর তামিম হামলাকারীদলের সবাইকে নিয়ে বসেন। রোহান ইমতিয়াজকে হামলার নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

৩০ জুন সকালে বাসায় আসেন সারোয়ার জাহান। সবাইকে নিয়ে তিনি বৈঠক করেন। তিনি জানান, পরদিন ১ জুলাই হলি আর্টিজানে হামলা হবে। বিকেলে সারোয়ার জাহানের ইমামতিতে সবাই আসরের নামাজ পড়েন। তারপর সারোয়ার জাহান হামলাকারী পাঁচজনের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।

সারোয়ার তাদেরকে বলেন, ‘তোমরা হলি আর্টিজানে হামলার সময় কখনো হতাশ হবে না। একজনের গুলি শেষ হলে আরেকজন ব্যাকআপ দেবে। মনে রাখবে, আমাদের হারানোর কিছু নেই। অপারেশনের সময় তাড়াহুড়োর দরকার নেই। খুব গুরুত্বদিয়ে কাজগুলো করবে। আর মুশরেকদের ওপর কোনো দয়া দেখাবে না। এমনকি সে যদি সাংবাদিকও হয়। সর্বদা জিকিরের মধ্যে থাকবে। যদি কেউ বন্দি হয়ে যায়, তাহলে নিজেই নিজেকে শেষ করে দেবে। ’

এরপর সারোয়ার চলে যান। তামিম হামলাকারী পাঁচজনের জন্য পাঁচটি টি-শার্ট ও পাঁচটি জিনসের প্যান্ট কিনতে পাঠান বাশারুজ্জামানকে। পরদিন ১ জুলাই সকাল ১০টার সময় বাশারুজ্জামান বাসায় এসে হামলাকারীদের প্রত্যেকের ব্যাগে একটি করে একে-২২, একটি পিস্তল, একটি চাপাতিসহ পর্যাপ্ত পরিমাণে গুলি ঢুকিয়ে দেন। চারটি গ্রেনেড নিবরাসসহ দু’জনের ব্যাগে দু’টি করে ঢুকিয়ে দেন। এরপর বাসায় সবাই জোহরের নামাজ পড়েন।

বেলা তিনটার দিকে তামিম সিদ্ধান্ত জানান, রাজীব গান্ধী স্ত্রী-সন্তানসহ রূপনগরের নতুন বাসায় চলে যাবেন। তারপর আসরের নামাজের পর রোহান, নিবরাস ও মোবাশ্বের অস্ত্র-গুলির ব্যাগসহ বের হয়ে যাবেন। তার একঘণ্টা পর অপর দু’জন শফিকুল ও খাইরুল বের হবেন। নির্দেশ অনুযায়ী দুইভাগে ভাগ হয়ে আক্রমণকারী পাঁচজন কিছুপথ রিকশায় এবং কিছুপথ হেঁটে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।

এর পরপর বাশারুজ্জামান সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে আসেন। এতে চেপে তামিম ও মারজান একসঙ্গে বের হয়ে শেওড়াপাড়ার বাসায় ওঠেন। যাওয়ার সময় বাকিদের ইফতার সঙ্গে নিয়ে দ্রুত বের হয়ে যেতে বলে যান। এরপর তানভীর কাদেরি ও বাশারুজ্জামান সপরিবারে ওঠেন পল্লবীর রূপনগরে জাহিদের বাসায়।

ইফতারের পর জঙ্গিরা হলি আর্টিজানে আক্রমণ করে ভেতরে থাকা সবাইকে জিম্মি করেন। জঙ্গিরা হত্যাযজ্ঞ শেষ করে জিম্মিদের ফোন থেকে তামিমকে থ্রিমা অ্যাপে হামলার মেসেজ পাঠায়। হামলার পরদিন তামিম শেওড়াপাড়ার বাসা থেকে নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় ভাড়া করা বাসায় চলে যান। সঙ্গে যান নব্য জেএমবির মিডিয়া প্রধান তাওসিফ এবং মারজান চলে যান রূপনগরের বাসায়।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৯
পিএম/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।