রোববার (০১ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক এবং একই গ্রামের নয়ন শেখ।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, একই গ্রামের মাহফুজুর রহমান, হৃদয় আলী, সম্রাট আলী প্রামাণিক, গোলাপনগর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা। এছাড়াও এই মামলায় আরিফ মালিথা নামে এক আসামিকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্তকে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল বাদী জাহারুল ইসলামের ভাতিজা আশরাফুজ্জামান রতনের ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আসামিরা হামলা করে ঘটনাস্থলে স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে। একইসঙ্গে তার ভাই মিজানুর রহমানকেও জখম করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজানুর রহমানের মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষক মুজিবুর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ১৭। ভেড়ামারা থানা পুলিশ ২০১৭ সালের ৯ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি (নারী ও শিশু) অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উক্ত হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৪ আসামিকে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড, পেনাল কোডের ৩০২/১১৪ ধারায় ৭ জনকে যাবজ্জীবন ও পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় ১ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের পরিবার।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এইচএডি/