রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের রায়পুর মহল্লায় আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার ও ভিডিপি) জেলা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আনসার সদস্যরা হলেন- শাহজাদপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আনসার ও ভিডিপি) সহকারী প্লাটুন কমান্ডার মো. ওবায়দুল্লাহ (৩৩) ও সদস্য মতিউর রহমান (৩৫)।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত আনসার ও ভিডিপির প্লাটুন কমান্ডার আকমল হোসেন বলেন, আমরা রেশন নেওয়ার জন্য জেলা সদরের অফিসের সামনে অবস্থান করছিলাম। এ সময় একটি পিকআপভ্যান পুলিশ লাইন্সে যাওয়ার পথে বিকট শব্দ হয়। এরপরই আমাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা সহকারী প্লাটুন কমান্ডার ওবায়দুল্লাহ ও সদস্য মতিউর রহমান মাটিতে লুকিয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক পুলিশ পিকআপ ভ্যানটি থামানোর পরই বুঝতে পারি গাড়িতে থাকা শর্টগান থেকেই গুলিটি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের মধ্যে ওবায়দুল্লাহর বাম হাতে ৪/৫টি, উরু ও কোমরে একাধিক গুলি লেগেছে এবং মতিউর রহমানের ডান হাতে ৫/৬টি এবং বুকে ও পেটে অন্তত ১৪/১৫টি গুলি লেগেছে।
পুলিশের পিকআপে থাকা সদর থানায় কর্মরত কনস্টেবল রেজাউল করিম বলেন, শহরের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ চলছিল। এ সময় সদর থানার ওসি স্যার পুলিশ লাইনে একটি মিটিংয়ে ছিলেন। তাকে দ্রুত নিয়ে আসতে পুলিশ লাইনে যাচ্ছিলাম। ওই পিকআপভ্যানে একটি শর্টগান ও একটি গ্যাসগান ছিল। এ সময় পিকআপের পেছনে আমি একাই ছিলাম। চালক পিকআপটি চালানোর সময় ঝাকুনি হলে অসর্তক অবস্থায় লোড করা শর্টগান থেকে গুলি বের হয়ে যায়। গুলিটি পিকআপভ্যানের বডি ছিদ্র করে আনসার সদস্যদের শরীরে বিদ্ধ হয়।
আনসার ও ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট মির্জা সিফাত ই খোদা জানান, পুলিশের গুলিতে ২ আনসার সদস্য আহত হওয়ার পর তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের চিকিৎসার বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। ঘটনাটি ইচ্ছাকৃত নাকি পরিকল্পিত সেটি এখনও তদন্ত হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান, অসর্তকতার কারণে গুলির ঘটনা ঘটেছে। আমরা পুলিশের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৯
আরএ