ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

খুনের প্রতিশোধ নিতেই আনসার সদস্যকে হত্যা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯
খুনের প্রতিশোধ নিতেই আনসার সদস্যকে হত্যা গ্রেফতার সাত আসামি। ছবি: বাংলানিউজ

যশোর: যশোরের হাসিমপুর বাজারে আনসার সদস্য হোসেন আলী তরফদার হত্যার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সাত আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

পারিবারিক কলহ, আধিপত্য বিস্তার এবং খুনের প্রতিশোধ নিতেই এ হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) তৌহিদুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর সকালে যশোরের হাশিমপুর বাজারে একটি চায়ের দোকানের সামনে ৯ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী হোসেন আলীকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। ঘটনা পরেই পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার দিন নিহতের ছেলে হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১২ ডিসেম্বর পুলিশ আমিনুর রহমান মিঠু নামে একজনকে গ্রেফতার করে ও রিমান্ডে নেয়। মামলাটি চাঞ্চল্যকর হওয়ায় তদন্তে এটি গোয়েন্দা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।

মিঠুর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পুলিশের একাধিক টিম ঢাকার কাফরুল ও ভাসানটেক এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত রাসেল, আনোয়ার, হাবিল ওরফে বার্মিজ, বিজয় বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। এদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একইরাতে যশোরের হাশিমপুর বাজার থেকে সুজন ও সজল এবং মাগুরার শালিখা উপজেলার আড়পাড়া থেকে আলী রাজ বাবু ওরফে ছোটবাবুকে গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি জুয়েল ও মুন্নাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও জানান, অভিযানকালে পুলিশ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুইটি মোটরসাইকেল, একটি চাকু, ১০টি মোবাইলফোন সেট ও একাধিক সিম উদ্ধার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে জুয়েলের সঙ্গে হোসেন আলী তরফদারের স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কলহ ছিল। এক সময়ের চরমপন্থি সংগঠনের সদস্য হোসেন আলী সরকারের সাধারণ ক্ষমার আওতায় আসেন। পরে তার আনসার বাহিনীতে চাকরি হয়। কিন্তু চাকরিতে থাকা অবস্থায়ও ওই বাহিনীর সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা ছিল। জুয়েলের ভাই বাবলা ও মুন্নার বাবা বুলি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হওয়ার ঘটনায় হোসেন আলীর হাত ছিল বলে তাদের (জুয়েল ও মুন্না) সন্দেহ ছিল। এসব কারণে হোসেন আলী খুন হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।

পুলিশ জানায়, মামলা তদন্তে তারা জানতে পারেন, জুয়েল ও মুন্নার নেতৃত্বে ওই এলাকায় একটি সন্ত্রাসী  কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ১৫ থেকে ২০ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে তারা এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদকদ্রব্য বিক্রি, ভাড়াটে খুনি হিসেবে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
ইউজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।