ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

স্যার ফজলের দাফন রোববার, আর্মি স্টেডিয়ামে শেষ শ্রদ্ধা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
স্যার ফজলের দাফন রোববার, আর্মি স্টেডিয়ামে শেষ শ্রদ্ধা

ঢাকা: বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বনানী করবস্থানে দাফন করা হবে। তার আগে ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে। দুপুর সাড়ে ১২টায় আর্মি স্টেডিয়ামেই সম্পন্ন হবে নামাজে জানাজা। পরে দাফন করা হবে ঢাকার বনানী কবরস্থানে।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাত ১১টায় ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।  

তিনি বলেন, আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, (আমাদের প্রিয় আবেদ ভাই) আর আমাদের মাঝে নেই।

আজ রাত ৮টা ২৮ মিনিটে রাজধানীর বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন।  

‘এ মুহূর্তে কোনো সমবেদনা বা সান্ত্বনার ভাষাই তাকে হারানোর কষ্ট কমাতে পারবে না। যেকোনো কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে শান্ত থাকা ও এগিয়ে যাওয়ার শিক্ষাই তিনি সব সময় আমাদের দিয়েছেন। জীবনভর যে সাহস আর ধৈর্যের প্রতিচ্ছবি আমরা তার মাঝে দেখেছি, সেই শক্তি নিয়েই আমরা তার স্মৃতির প্রতি যথাযথ সম্মান জানাবো। ’

তিনি বলেন, ফজলে হাসান আবেদের আত্মানিবেদন, কর্মনিষ্ঠা ও সুদৃঢ় নৈতিক অবস্থান তাকে ব্র্যাক পরিবারের সবার কাছে শ্রদ্ধেয় আবেদ ভাই করে তুলেছিল। মানুষকে মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি ছিল তার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এমনকী ব্র্যাকের পরিচিতি যখন বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত হয়েছে তখনও সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নয়নই তার অগ্রাধিকার ছিল। সতত, বিনয় ও মানবিকতার এক বিরল দৃষ্টান্ত ছিলেন তিনি। তার এসব গুণবলীই ব্র্যাকের প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠার ভিত্তি রচনা করেছে।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

স্যার ফজলে হাসান আবেদ ৩৬ বছর বয়সে, ১৯৭২ সালে তদানীন্তন সিলেট জেলায় একটি ক্ষুদ্র ত্রাণ ও পুনবার্সন প্রকল্প হিসেবে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন। গত ৪৭ বছরে বহুবিস্তৃত কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে ব্র্যাক বিশ্বের অন্যতম কার্যকরী বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় পরিণত হয়েছে। মাইক্রোফাইন্যান্স, সামাজিক ব্যবসা, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক ও সুবিধাবঞ্চিত মানুসের উন্নয়নের লক্ষ্যে নানামাত্রিক বিনিয়োগ সমন্বয়ে ব্র্যাক আজ বিশ্বের বুকে একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। সংস্থাটি এশিয়া ও আফ্রিকার ১১ দেশের ১০ কোটিরও বেশি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছে।

চলতি বছর স্যার ফজলে হাসান আবেদ ব্র্যাকের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি নেন। তাকে প্রতিষ্ঠানটির ইমেরিটাস চেয়ার নির্বাচিত করা হয়। ১৯৭২ সালে ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করার পর সংস্থাটি বিশ্বের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় পরিণত হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখায় স্যার আবেদ বাংলাদেশ ও বিশ্বের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা পেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১৯
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।