পরে গণমাধ্যমে জানানো প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবদুল মোমেন বলেন, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসানের মৃত্যুতে জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি লাখ লাখ দরিদ্র মানুষকে দারিদ্র্যসীমার বাইরে নিয়ে এসেছেন৷ তিনি ক্ষণজন্মা ছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দেশের এক কিংবদন্তি নায়ক হারালাম। সেবা খাতে অনন্য অবদান রেখেছেন তিনি। এমনকি সারা বিশ্বে তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি গরিবদের জন্য অনেক কাজ করেছেন। তার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর ৭১ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আজ যে বাংলাদেশ দেখছি তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে ব্র্যাক জড়িত। সে হিসাবে আমি মনে করি ফজলে হাসান আবেদের যে গুরুত্ব তিনি আজ চলে গেলে সেটা সেখানে থেমে থাকবে না। আমাদের আশা থাকবে তার যে চিন্তাভাবনা, কর্মকাণ্ড ৭১ দিয়ে শুরু করেছিলেন, সেটা সামনে যারা এখন ব্র্যাকের কর্ণধার হবেন তারা এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে যাওয়ার সময় শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, স্যার ফজলে হাসান আবেদ ছিলেন বটবৃক্ষ। বিশেষ করে উন্নয়নের ক্ষেত্রে। তিনি কত প্রতিষ্ঠান ও নেতৃত্ব তৈরি করেছেন সেটা সবাই জানেন। তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যাকে কখনো কোনো বিষয় নিয়ে অহংকার করতে দেখিনি। তার কাছ থেকে একটি জিনিস শিখেছি। কি করে মানুষের সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করতে হয়। আমরা যারা বেসরকারি খাতে উন্নয়ন নিয়ে কাজ করি শত শত কর্মী তার হাতে গড়া। তার স্বপ্ন ছিল অনেক। এরমধ্যে অন্যতম হলো বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া। তিনি তৃণমূল থেকে কাজ করে এসেছেন। তার আত্মা শান্তি পাক এটাই কামনা করি।
এছাড়া নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুস, সাবেক স্বতন্ত্র এমপি ফজলুল আজিম, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাসের প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার নিহাদ কবির, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক শিফা হাফিজাসহ বিশিষ্টজনেরা তাকে দেখতে অ্যাপোলো হাসপাতালে ছুটে আসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
জিসিজি/এএ