তিনি বলেন, আইসিইউতে যাওয়ার পরেও উনি মেয়েকে ডেকে বলেছেন ব্র্যাকের নতুন স্কুলগুলোকে তার্কিশ মডেলে করতে হবে, সে মডেল খুব ভালো। সাইক্লোন বুলবুল যখন হয়েছে তখন তিনি ঘুমাতে পারেননি।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) অ্যাপোলো হাসপাতালে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ সাংবাদিকদের বলেন, ফজলে হাসান ব্রেন ক্যানসারে ভুগছিলেন। মারা যাওয়ার সময় তার পরিবারের সবাই চারপাশে ছিলেন। কোনো রকমের ব্যথা-বেদনা ছাড়া আমাদের ছেড়ে গেছেন। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ব্র্যাক শুরু করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্গঠনে বিদেশের করপোরেট জীবন ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসেন দেশকে নতুন করে গড়তে। সেই পথে ব্র্যাক এখন মহিরূহে পরিণত হয়েছে। ব্র্যাক এখন ১৪টি দেশে আছে। বহু প্রতিষ্ঠান তিনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
‘তিনি সব সময় আমাদের বলতেন, ব্র্যাক কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানের নাম নয়। একটা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে জাগিয়ে তোলার স্বপ্ন হচ্ছে ব্র্যাক। সেই স্বপ্নকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা। আমরা যারা ব্র্যাকে আছি সেই স্বপ্নকে সামনে নিয়ে যাবো আগামী দিনগুলোতে। আপনারা আশাকরি পাশে থাকবেন। আমরা ব্র্যাক পরিবার শোকে স্তব্ধ। তিনি সব সময় বলতেন শোকে স্তব্ধ হলেও কাজ চালিয়ে যেতে হবে। আমরা তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ চালিয়ে যাবো।
ব্র্যাক পরিচালনায় কোনো দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে গত চার থেকে পাঁচ মাস ব্র্যাকের গ্লোবাল গভর্নেন্সের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন এবং একটি গ্লোবাল বোর্ড গঠিত হয়েছে। যেখানে ইতোমধ্যেই তিনজন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই গ্লোবাল বোর্ডের মাধ্যমেই আগামী দিনগুলিতে কাজ হবে। আমরা ব্র্যাকের যে কর্মীরা আছি সবাই তার কাজগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবো। ১০ বছরের একটি পরিকল্পনা নিয়েছি, সেভাবেই এ কার্যক্রম চলবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
জিসিজি/এএ