ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কক্সবাজার বেতারে ১২ বছর পর উপস্থাপকদের গ্রেডেশন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
কক্সবাজার বেতারে ১২ বছর পর উপস্থাপকদের গ্রেডেশন 

কক্সবাজার: দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশ বেতারের কক্সবাজার কেন্দ্রে অনুষ্ঠান ঘোষক-ঘোষিকাদের শ্রেণী উন্নয়নে (গ্রেডেশন) কণ্ঠস্বর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সঙ্গে ঘোষক-ঘোষিকা পদে কণ্ঠস্বর পরীক্ষা (অডিশন) অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজার বেতার কেন্দ্রে বাচিক শিল্পীদের এ গ্রেডেশন কার্যক্রম শেষ হয়। এতে অংশ নেন কক্সবাজার বেতার কেন্দ্রের ২৩ জন অনুষ্ঠান ঘোষক-ঘোষিকা।

এছাড়া এর আগে গত ১৮ ও ১৯ ডিসেম্বর একই পদে অডিশনে অংশ নেয় শতাধিক প্রার্থী।

এর আগে সর্বশেষ ২০০৭ সালের নভেম্বরে এ কেন্দ্রে শ্রেণী উন্নয়ন (গ্রেডেশান) পরীক্ষা ও ২০১০ সালে ঘোষক-ঘোষিকা নিয়োগে কণ্ঠস্বর পরীক্ষা (অডিশন) অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি কক্সবাজারে বেতারে নানা অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগে আঞ্চলিক পরিচালক মো. মাহফুজুল হককে অন্য জায়গায় বদলীর পর নতুন আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে কেন্দ্রের তৎকালীন উপ-আঞ্চলিক পরিচালক মো. ফখরুল করিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার একমাসের মধ্যে নতুন করে উপস্থাপকদের এ গ্রেডেশনের উদ্যোগ নেন।

এদিকে দীর্ঘ সময় পর হলেও বর্তমান আঞ্চলিক পরিচালকের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কক্সবাজার বেতারের অনুষ্ঠান ঘোষক-ঘোষিকারা।

বেতারের প্রথম ব্যাচের অনুষ্ঠান ঘোষক নাজমুল করিম জুয়েল, অধ্যাপিকা শরমিন সিদ্দিকা লিমা ও শামীম আক্তার জানান, ২০০১ সালে এ বেতার কেন্দ্র চালু হওয়ার পর প্রায় ১৯ বছরে মাত্র একবার গ্রেডেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কারণে প্রথম ব্যাচের অনেক ঘোষক-ঘোষিকাই এখনও ‘গ’ শ্রেণীতেই রয়ে গেছেন। অন্যদিকে তাদের আট-দশ বছর পরে যারা নিয়োগ পেয়েছে তারাও ‘গ’ শ্রেণীতেই অন্তর্ভুক্ত। বিষয়টি আসলেই বিব্রতকর।

তারা বলেন, প্রায় একযুগ পর হলেও বাচিক শিল্পীদের শ্রেণী উন্নয়ন হচ্ছে, এটি খুবই আনন্দের। এ গ্রেডেশন ঘিরে অন্তত একটা দিন আমরা আনন্দমুখর সময় কাটিয়েছি।

কক্সবাজার বেতারের রেডিও অ্যানাউন্সার ক্লাবের সভাপতি সুনীল বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ২০০১ সালে বেতার কেন্দ্রটির প্রতিষ্ঠা হলেও সর্বশেষ ২০০৭ সালের নভেম্বরে গ্রেডেশন অনুষ্ঠিত হয়। সময় মতো গ্রেডেশন না হওয়ার বেতারের অনেক সিনিয়র উপস্থাপক শ্রেণী উন্নয়নের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। একই অবস্থা বিরাজ করছে সংগীত, সংগীত প্রযোজক, নাটক, নাট্য প্রযোজকসহ বিভিন্ন বিভাগে। শ্রেণী উন্নয়ন শিল্পীদের অধিকার। দীর্ঘদিন পর হলেও গ্রেডেশন অনুষ্ঠিত হওয়ায় বেতারের উপস্থাপকদের মাঝে নতুন করে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।  

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজার বেতারের নতুন অাঞ্চলিক পরিচালক মো. ফখরুল করিম বাংলানিউজকে জানান, দুঃখজনক হলেও সত্য, এ কেন্দ্রে একযুগেরও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠান ঘোষক-ঘোষিকাদের শ্রেণী উন্নয়ন পরীক্ষা হয়নি। এবং দীর্ঘদিন ধরে শিল্পীরা শ্রেণী উন্নয়নের দাবি জানিয়ে এলেও তা নানা কারণে বাস্তবায়ন হয়নি। সংগীত, নাটকসহ বিভিন্ন বিভাগে একই অবস্থা চলমান। আমি আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন করে গ্রেডেশনের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।

ফখরুল করিম বলেন, এ কেন্দ্রে আরও নানা সমস্যা রয়েছে। বিশেষ করে, এখানে জনবল সংকট খুব প্রকট। সবার সহযোগিতায় একে একে সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

বাংলাদেশ  সময়: ০০০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
এসবি/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।