ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

কম্বল নিয়ে হাসপাতালে লালমনিরহাটের ডিসি 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
কম্বল নিয়ে হাসপাতালে লালমনিরহাটের ডিসি  কম্বল নিয়ে হাসপাতালে লালমনিরহাটের ডিসি 

লালমনিরহাট: টানা চার দিন ধরে সূর্যের দেখা নেই হিমালয়ের পাদদেশের জেলা লালমনিরহাটে। শনিবার ২১ ডিসেম্বর দিনভর কুয়াশার ঘনত্ব কমে গেলেও কয়েকগুন বেড়েছে হিমেল হাওয়া। কুয়াশার ঘনত্ব কমলেও হিমেল হাওয়ায় কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলের ছিন্নমুল মানুষ। ঠাণ্ডাজনিত রোগে হাসপাতালে বেড়েছে রোগীর ভিড়। রোগীদের জন্য কম্বল নিয়ে হাসপাতালে হাজির লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর।

শনিবার(২১ ডিসেম্বর) রাতে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের গায়ে কম্বল জড়িয়ে দেন জেলা প্রশাসক। তিনি রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।

আগুন পোহানোর সময় আহত চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী সুমি আক্তারের(১০) খোঁজ খবর নেন ও ৫ হাজার টাকা নগদ অনুদান দেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর। এরপর তিনি স্থানীয় এতিমখানার শিশুদের মাঝেও কম্বল বিতরণ করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ফেরদৌস আলম।


এদিকে তীব্র শীতে খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরেই যাচ্ছে না মানুষ। গরম কাপড়ের দোকানে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। বিশেষ করে ফুটপাতে কম দামের গরম কাপড় কিনতে ভিড় করছেন ছিন্নমুল মানুষ।  

কয়েক দিনের ঘন কুয়াশায় সবজিসহ বোরো বীজতলায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকদের দাবি। কুয়াশায় বোরো বীজতলা মরে যাওয়ায় আসন্ন বোরো চাষাবাদ নিয়ে চিন্তিত কৃষকরা।  


লালমনিরহাট জেলার ৫টি উপজেলায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ অব্যহত রয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রামে হাট-বাজার-স্টেশন ও ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমুল মানুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করছেন।  

জেলা প্রশাসক আবু জাফর বাংলানিউজকে বলেন, ছিন্নমুল মানুষদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল দেওয়া হচ্ছে। এটা আগামী দিনেও অব্যহত থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯ 
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।