ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সৌদিতে এক লাখ চালক পাঠাতে একনেকে উঠছে প্রকল্প

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
সৌদিতে এক লাখ চালক পাঠাতে একনেকে উঠছে প্রকল্প

ঢাকা: সৌদি আরবের বাসা-বাড়িতে প্রায় এক লাখ দক্ষ চালক পাঠাতে ২৬৭ কোটি ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। যা চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) একনেক সভায় উঠছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় একনেক বৈঠকে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। একনেক সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

সৌদিতে বাংলাদেশি দক্ষ চালকের কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। এ হিসেবে দেশের ৬১টি জেলার কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মাধ্যমে দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

প্রকল্পটির আওতায় এক লাখ দুই হাজার ৪০০ জনকে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া দক্ষ চালক তৈরিতে ১২৮টি ডাবল পিকআপ, আটটি ট্রাক ও একটি মাইক্রোবাস কেনা হবে।

‘দেশ-বিদেশ কর্মসংস্থানের জন্য ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ প্রদান’ প্রকল্পটির আওতায় শিগগির দেশের ৬১টি জেলায় এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে। চলবে জুন ২০২৪ সাল পযর্ন্ত। এই পাঁচ বছরে পর্যায়ক্রমে এক লাখ দক্ষ চালক সৌদি পাঠানো হবে।

প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ২৬৭ কোটি ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় তিন প্রকারের ১৯২টি প্রশিক্ষণ যন্ত্রপাতিও কেনা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, সৌদি আরবে বর্তমানে এক লাখ দক্ষ চালকের চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদা মেটাতে আমরা একটা প্রকল্প হাতে নিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে আমরা সৌদি আরবে পাঁচ বছরের মধ্যে এক লাখ চালক পাঠাব।

তিনি বলেন, আমাদের টার্গেট পাঁচ বছরে ১০ লাখ চালক তৈরি করার। কেননা, বিদেশের পাশাপাশি দেশীয় চাহিদা রয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষণে বিদেশে চাকরি হয় না। তাই চালকের যোগ্যতা অর্জনের মাধ্যমে আমরা তাদের সৌদি পাঠাব।

সৌদিতে একজন চালক মাসে এক হাজার ৩৫০ রিয়াল বেতন পাবেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ হাজার টাকা।

এদিকে, ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে কোনো অর্থ ব্যয় করতে হবে না। সরকারি এ প্রশিক্ষণ শতভাগ ফ্রি হবে। উল্টো প্রশিক্ষণ নিতে এলে দৈনিক ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে চালকদের।

গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে না। তবে এসব জেলার মানুষ পার্শ্ববর্তী জেলায় প্রশিক্ষণ নিতে পারবে।

প্রকল্পের বিষয়ে জানা যায়, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে একটি জেলায় প্রতি শিফটে ২০ জনকে নির্বাচিত করা হবে। বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) অফিসে কোনো ধরনের পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। সরাসরি সৌদি আরবের কোম্পানি পরীক্ষা নেবে।

প্রকল্পের আওতায় একজনকে তিন মাসে ৩৬০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রতিটি জেলায় দুটি প্রশিক্ষণ গাড়ির মাধ্যমে ২০ জন করে দুই শিফটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এজন্য ৬১টি জেলার জন্য ১২৮টি প্রশিক্ষণ গাড়ি কেনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এমআইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।