ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফেনীতে অনুমতি ছাড়াই বাণিজ্যমেলার প্রস্তুতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
ফেনীতে অনুমতি ছাড়াই বাণিজ্যমেলার প্রস্তুতি ফেনী শিল্পকলা একাডেমি সংলগ্ন এলাকায় চলছে বাণিজ্য মেলার প্রস্তুতি। ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: ফেনীতে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই মাসব্যাপী শিল্পপণ্য ও বাণিজ্যমেলার আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে।

ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের ওয়াপদা মাঠ দখল করে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের কোনো অনুমতি ছাড়াই দোকান ও সাজসজ্জার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। এদিকে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া মেলার আয়োজনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

এ নিয়ে ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে বিরাজ করছে অসন্তোষ।

শহরের অন্যতম মাঠটি দখল করে  মেলার আয়োজনে বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও মাঠে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিশু-কিশোররা। এতে খেলোয়াড় ও সংগঠকদের মধ্যেও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে ফেনী জহিরান মিলনায়তন মাঠ, ওয়াপদা মাটসহ বিভিন্নস্থানে একের পর এক মেলা আয়োজনে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন।  

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, ফেনী শহরের ওয়াপদা মাঠে ইট বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাঠের চারপাশ টিন দিয়ে ঘিরে ৮০টি স্টল বানানো হয়েছে। মেলা উপলক্ষে মাঠের মধ্যে চরকি দোলনা, ট্রেন রাইডসহ নানা বিনোদনের আয়োজন করা হয়েছে। কয়েকজন শ্রমিক মাঠের মূল প্রবেশপথে গেট তৈরির কাজ করছেন। মাঠের ঠিক মাঝখানে রয়েছে বড় একটি টাওয়ার।

স্থানীয়রা জানায়, এ মাঠকে ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে ওয়াপদা স্পোটিং ক্লাবসহ কয়েকটি ক্রীড়া সংগঠনের সদস্যরা নিয়মিত অনুশীলন করে। এছাড়া আশপাশের বাসিন্দা ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়ুয়া ছাত্ররা প্রতিদিন বিকেলে খেলাধুলা করেন। প্রতিবছর মেলাটি মার্চের শুরুতে একমাসের জন্য চালু হলেও চলে দেড় দুই মাস। এতে একমাসের অনুমতি নিয়ে প্রতিবারই মেলা চলে দেড় মাস। এবার আগেভাগেই মাঠে নেমেছে আয়োজকরা। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সাড়ে তিন মাস টার্গেট নিয়ে তারা জেঁকে বসছে। এদিকে বরাবরের মতো এবারও মেলা আয়োজন নিয়ে ব্যবসায়ী নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, মেলার কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।

ফেনী শহর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পারভেজুল ইসলাম হাজারী বাংলানিউজকে জানান, ফেনী বাণিজ্যমেলার বিরুদ্ধে আমরা সবসময় স্বোচ্চার। বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য মন্দা। এর ওপর যদি আবার মেলা অনুষ্ঠিত হয় তাহলে ফেনীর সাধারণ ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হবে। মেলা বন্ধে আইন-শৃঙ্খলা ও জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় প্রতিবাদ জানিয়েছি। ক্রেতারাও না বুঝে মেলা থেকে বেশি দামে মানহীন পণ্য কিনে ঠকছেন।

ফেনী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আয়নুল কবির শামীম বাংলানিউজকে জানান, বাণিজ্যমেলার কারণে ব্যবসায়ীররা ক্ষতির সম্মুখীন হন। মেলা মাসব্যাপী আয়োজনের কথা বলে চলে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত। মেলায় নিম্নমানের পণ্য কিনে ক্রেতারা প্রতারিত হন।

ফেনী বাণিজ্যমেলার মূল উদ্যোক্তা শহিদুল ইসলাম পিন্টু বাংলানিউজকে জানান, আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে ফেনী বাণিজ্যমেলা শুরু হবে।

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ওয়াহিদুজজামান বাংলানিউজকে বলেন, ফেনী বাণিজ্যমেলা এখনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবে কর্তৃপক্ষ মেলা আয়োজনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন। পুলিশের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৯
এসএইচডি/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।