ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অস্ত্রের মুখেও আমরা বলবো জয় বাংলা: ইমদাদুল হক মিলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২০
অস্ত্রের মুখেও আমরা বলবো জয় বাংলা: ইমদাদুল হক মিলন

ঢাকা: কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেছেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আসলে কোথায়? যখন কোনো বাঙালির বুকে শত্রুরা অস্ত্র ধরবে, অস্ত্রের মুখেও আমরা বলবো জয় বাংলা, এটাই হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটের আ ক মু গিয়াসউদ্দীন মিলকী অডিটোরিয়ামে ‘নন্দিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ইমদাদুল হক মিলন।

মিলন বলেন, আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ভাই কখনো নিজেকে নিয়ে উচ্চ গলায় কথা বলেননি।

আমি এটা করেছি, আমি সেটা করেছি। অথচ আমরা আমাদের সমাজে অনেক ছোট মানুষকে অনেক বড় কথা বলতে দেখি। যারা প্রকৃত অর্থে বড় তারা এ ধরনের কথা বলেন না।

কালের কণ্ঠের সম্পাদক বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় ফার্মগেটে কঠিনতম বেরিকেডের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। আমরা ইতিহাসের দিকে তাকাই না। ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আমরা মুছে ফেলি বা ভুলে যাই।

‘২৫ মার্চ পাকিস্তানিদের আটকানোর জন্য এ রাস্তা বন্ধ করেছিলেন আসাদুজ্জামান। রাত জেগে রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। রাত এগারোটা পর্যন্ত তারা বন্ধুরা মিলে পার্কে লুকিয়ে পাকিস্তানিদের এক্টিভিটিস লক্ষ্য করছিলেন। একথা কোথাও তেমন করে লেখা হয় না। আমি অত্যন্ত আনন্দিত এই বইটির মধ্য দিয়ে আমরা ইতিহাসগুলো জানতে পারছি। ’ 

মুক্তিযুদ্ধে মানুষের সাহসী অবদানের কথা স্মরণ করে মিলন বলেন, বিক্রমপুরের একটি গ্রামের ছেলে আব্দুল আজিজ। তখন সে ক্লাস নাইনে পড়ত। ছেলেটি রোগা থাকার কারণে মুক্তিযুদ্ধে যেতে পারেনি। ১৯৭১ সালে সে একদিন বাজারে যায়, তখন বাজারে পাকিস্তানি মিলিটারির জিপ গাড়ি এসে ঢোকে, সাথে সাথে বাজারটি খালি হয়ে যায়। ছেলেটি পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়ে। পাকিস্তানি ক্যাপ্টেনছেলেটির বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে বলতে বলেছিল- পাকিস্তান জিন্দাবাদ। কিন্তু ছেলেটি তখন আকাশের দিকে হাত তুলে বলেছিল- জয় বাংলা। তিনবার জয় বাংলা বলার পরে ছেলেটিকে গুলি করে খালে ফেলে দেয় পাকিস্তানি মিলিটারিরা। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আসলে কোথায়? যখন কোনো বাঙালির বুকে শত্রুরা অস্ত্র ধরবে, অস্ত্রের মুখেও আমরা বলবো- জয় বাংলা। এটাই হচ্ছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।

জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, পুলিশ প্রধান ড. জাবেদ পাটোয়ারী, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, র‍্যাবের প্রধান বেনজির আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
এমএমআই/এইচজে 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।