বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শৈত্যপ্রবাহ মোকাবেলায় সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি মাসে পরপর সম্ভাব্য দু’টি শৈত্যপ্রবাহে দেশের মানুষের যাতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হয়, এজন্য সরকার আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি জানান, ৬৪ জেলার দরিদ্র শীতার্তের সাহায্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভান্ডার থেকে ২৪ লাখ ৬৯ হাজার একশ কম্বল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে আরও সাত লাখ ২১ হাজার আটশ কম্বল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া এবারই প্রথম শীতার্ত শিশুদের মধ্যে শীতবস্ত্র ও শিশুখাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, শীতের মতো এমন দুর্যোগেও সরকার শুরু থেকেই দরিদ্র শীতার্ত জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়িয়েছে । এ পর্যন্ত বর্তমান অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় শীতবস্ত্র ( কম্বল ) কেনার জন্য রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা, নড়াইল, ফরিদপুর এবং গোপালগঞ্জে ১৬টি জেলায় মোট এক কোটি ৬৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, শিশুদের শীতবস্ত্র কেনার জন্য রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা, নড়াইল, রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, এ ২০টি জেলায় মোট ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশুখাদ্য কেনার জন্য এ জেলাগুলোতে মোট ২১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও রংপুর বিভাগের রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড়সহ আট জেলার প্রতিটিতে দু’হাজার করে মোট ১৬ হাজার শুকনো ও অন্য খাবারের কার্টুন বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
জিসিজি/এবি