বুধবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক নির্মূলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন।
দেশে মাদক প্রবেশের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে মাদক উৎপাদন হয় না। চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দেশে নানা পথে মাদক ঢুকছে। মাদকের একটি অংশ পাচার হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। অবশিষ্ট মাদক রয়ে যাচ্ছে দেশেই। ইদানীং মাদক চোরাচালানে নারীরাও যুক্ত হয়েছেন। আর মাদক ব্যবসায়ীরা শিশুদের বাহক হিসেবে ব্যবহার করছে।
‘এগুলো আমরা লক্ষ্য করছি। কাজেই মাদক নির্মূলে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সমাজের সবাইকে মাদকের কুফল সম্পর্কে জানাতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। তবেই সমাজ থেকে মাদক নির্মূল করা সম্ভব। ’
তিনি বলেন, সরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের পাশাপাশি বেসরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে মাদকাসক্তরা সুচিকিৎসা পান। ঢাকা কেন্দ্রীয় মাদক নিরাময় কেন্দ্র ও চারটি বিভাগীয় মাদক নিরাময় কেন্দ্রের মাধ্যমে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৮ হাজারেরও বেশি মাদকাসক্তকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জামাল উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ডা. অরূপ রতন চৌধুরী প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
এমএমআই/এএ