শনিবার (০৪ জানুয়ারি) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাতীয় পার্টির (জেপি) কেন্দ্রীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজ একটা অলঙ্ঘনীয় দেয়াল উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
‘সেদিন কারা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল, নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। কারা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিল- দেশবাসী জানে। ’
তিনি বলেন, ২১ আগস্টের প্রাইম টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা। কারা তখন ক্ষমতায়, কারা প্ল্যানার, কারা মাস্টারমাইন্ড, সবাই তা জানে। তারপরও এই অলঙ্ঘনীয় দেয়াল কীভাবে ভাঙবো? আমাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। এতোকিছুর পরও খালেদা জিয়ার সন্তানের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা তার বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন, কিন্তু দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
‘২০১৪ সালের আগে শেখ হাসিনা গণভবনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়াকে। তিনি ঘৃণাভরে গালাগাল করে যে ভাষা প্রয়োগ করেছিলেন আপনার কি তা শোনেননি?’
পড়ুন>>‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সম্পর্ক খারাপের জন্য বিএনপি দায়ী’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ সামাজিক অনুষ্ঠান, কারো মৃত্যুর পর জানাজায় যাবো কিনা এটা নিয়ে দ্বিধা কাজ করে। কারণ কে কি মনে করে এটা মাথায় কাজ করে। এ বিষয়গুলো রাজনীতির জন্য শুভ নয়। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে বিরোধী দলকেও শক্তিশালী করতে হবে।
‘শক্তিশালী বিরোধী দল ছাড়া শক্তিশালী গণতন্ত্র কল্পনাও করা যায় না। এটা আমাদের বিশ্বাস করতে হবে। যা আমরা বিশ্বাস করি তা পালন করি না। এটাও বাংলাদেশের রাজনীতির আরেক বাস্তবতা,’ যোগ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।
জেপি সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
এসকে/এমএ