ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

জানুয়ারিতে ৩ শৈত্যপ্রবাহ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২০
জানুয়ারিতে ৩ শৈত্যপ্রবাহ

ঢাকা: পৌষ-মাঘ মাস বাংলার প্রকৃতিতে শীতকাল। ডিসেম্বরের শেষে শীতের শুরু হলেও জানুয়ারিজুড়েই প্রকোপ বেশি। ফলে ইংরেজি বছরের শুরুতেই শীতলতম মাস পার করতে যাচ্ছে দেশ। যার রেশ থাকবে ফেব্রুয়ারিতেও।

আবহাওয়া অফিস বলছে, জানুয়ারিতে ছোট-বড় তিনটি এবং ফেব্রুয়ারিতে আরো একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে দেশের উপর দিয়ে।

দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস দিতে গঠিত আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটির সভাপতি ও অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ২ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সভা শেষে প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।

মাসের শুরুতে বৃষ্টির পর তাপমাত্রা কমে গিয়ে একটি শৈত্যপ্রবাহ শুরু হচ্ছে শনিবার রাত থেকেই। যদিও এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুরে রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি।

শনিবার (০৪ জানুয়ারি) পূর্বাভাসে জানানো হয়, রাতে তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে ১-৩ ডিগ্রি। আগামী তিনদিনে তাপমাত্রা আরো কমে যাবে। চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। আর মধ্যরাত থেকে কুয়াশা পড়তে পারে।

উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাবে ডিসেম্বরে দেশের উপর দিয়ে দুটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এর মধ্যে গত ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে উত্তরের জনপদ।

এই উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ দেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করায় ২৫-৩১ ডিসেম্বর রংপুর ও রাজশাহী বিভাগ এবং ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া ও টাঙ্গাইল অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় তেঁতুলিয়া।

ডিসেম্বরে দেশের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা ১.৪ ডিগ্রি এবং ০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিল বলে জানায় অধিদপ্তর।

আর বৃষ্টিপাতের দিন, সংখ্যা, শৈত্যপ্রবাহ, কৃষি আবহাওয়া এবং দেশের নদ-নদীর অবস্থা পূর্বাভাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল বলেও জানানো হয়।

তবে জানুয়ারিতে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সামছুদ্দিন।

তিনি জানান, এ মাসে ২-৩টি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, যার মধ্যে ২টি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ রূপ নেবে। এসময় তাপমাত্রা কমে দাঁড়াবে ৪-৬ ডিগ্রি।

এছাড়া এমাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এবং নদ-নদী অববাহিকায় মাঝারি বা ঘন কুয়াশা এবং অন্যত্র হালকা বা মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার পরিস্থিতি কখনও কখনও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

কৃষি আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়, জানুয়ারিতে গড় সূর্যকিরণ থাকবে ৬-৭ ঘণ্টা, শৈত্যপ্রবাহে বোরো ধানের বীজতলায় বিশেষ যত্ন নিতে হবে।

ফেব্রুয়ারের প্রথমার্ধে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের উপর দিয়ে ১টি মৃদু (৮-১০) বা মাঝারি (৬-৮) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। মাসের প্রথমার্ধে নদ-নদী অববাহিকা এবং অন্যত্র সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস আরো জানিয়েছে, এ মাসের শেষ দিক থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে। আর ফেব্রুয়ারি মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে ১-২ দিন বজ্রঝড় হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০২০
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।