শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পোরশা উপজেলার হাপানিয়া সীমান্তের শূন্য রেখায় দু-দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের পর মরদেহ দুটি হস্তান্তর করা হয়।
পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্বদেন ১৬ বিজিবির লে. কর্নেল আরিফুল ইসলাম এবং বিএসএফের পক্ষে ১৫৯ বিএসএফের কমান্ডেন্ট সিও জোশি হর্সি।
আরও পড়ুন: ‘গরু আনতে গিয়ে সীমান্তে নিহত হলে দায়িত্ব নেবে না সরকার’
মরদেহ হস্তান্তর শেষে ১৬ বিজিবির সিও লে. কর্নেল আরিফুল ইসলাম, বিএসএফের গুলিতে নিহত সনজিত ও কামালের মরদেহ পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধার করে ভারতীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে হস্তান্তর করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
সিও আরও জানান, পতাকা বৈঠকে বিএসএফের উদ্দেশ্যে আমরা বলেছি সীমান্তে এমন হত্যা অনাকাঙ্খিত। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর যেন না ঘটে এব্যাপারে তাদের বলা হয়েছে। আমরা সীমান্তে শান্তি চাই। পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, মরদেহ গুলো দেশে আসার পর আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
গত বুধবার (২২ জানুয়ারি) হাপানিয়া সীমান্তে সনজিত, কামাল ও মফিজুল নামে তিন বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। হত্যার পর এদের মধ্য কামাল ও সনজিতের মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায় বিএসএফ। আর মফিজুলের মরদেহ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকায় সেইদিনই উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এসএইচ