তিনি বলেছেন, সাংবিধানিক অঙ্গীকার অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকার সব সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী স্থান ও স্থাপনা সংরক্ষণে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকার প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা, সংরক্ষণ এবং উন্নয়নে নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে ওয়ার্ল্ড আরবান ফোরামের ‘সাংস্কৃতিক উদ্ভাবনের অগ্রায়ন ও অর্থায়নে জাতীয় কৌশল: চ্যালেঞ্জ ও ভালো উদাহরণ’ বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে শ ম রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নানা ঐতিহ্য আছে, যার অধিকাংশকে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরের বক্তব্যকে ধারণ করে বাংলাদেশ তা কার্যকর করছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। অথচ আমরা এজন্য দায়ী নই। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সবার এগিয়ে আসা উচিত। যাতে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ বিভিন্ন রকম সমস্যা মোকাবেলা করতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। বহু সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে আসাতে তাদের অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি আবাসনেরও ব্যবস্থা করতে হয়েছে। কার্বণ নিঃসরণের ক্ষতি কমাতে নতুন নগরায়ণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সবুজায়ন করা হচ্ছে।
‘এছাড়া আইনের পরিবর্তন করে হলেও কৃষি জমি ও জলাধার রক্ষা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবং ইউএন হ্যাবিটটের সব কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করছে। ’
শ ম রেজাউল করিম বলেন, বাংলাদেশে সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে গত কয়েক দশকে অত্যন্ত দ্রুত নগরায়ণ ঘটেছে। সীমিত নাগরিক সুবিধা, সীমিত সম্পদ, দক্ষ মানবসম্পদ ও সুশাসনের দিক বিবেচনায় নগর এলাকায় বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য আশ্রয়, খাদ্য, যোগাযোগ, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, সেবা এবং বিনোদন সুবিধা দিতে অধিকতর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদ্যমান নগরায়ণ প্রক্রিয়ায় টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও নতুন আরবান এজেন্ডা টেকসই উন্নয়নের জন্য সর্বোত্তম পন্থা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবকাঠামো উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ড. আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, মেক্সিকো, কলাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, মরক্কো, মরিশাস, বেলারুশ, নরওয়ে, ঘানার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী এবং ইউএন হ্যাবিটেটের নির্বাহী পরিচালক মাইমুনাহ মোহা. শরীফ আলোচনায় অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, ‘সিটি’স অব অপরচুনিটিস-কানেক্টিং কালচার অ্যান্ড ইনোভেশন’ থিম নিয়ে ৮-১৩ ফেব্রুয়ারি ইউএন-হ্যাবিটেটের আয়োজনে ওয়ার্ল্ড আরবান ফোরামের দশম সেশন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিশ্বের ১৪০ টি দেশের ৮০ জন মন্ত্রী, ৭০ জন মেয়র এবং আশি হাজার অংশগ্রহণকারী এই আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশ নিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
জিসিজি/এমএ