সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যে কোনো প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াই জটিল ও দীর্ঘমেয়াদী। রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য যথাযথ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক মহলকে সঙ্গে নিয়ে মিয়ানমারকে রাজি করানোর জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মিয়ানমার শীঘ্রই রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে ও দ্রুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।
‘কিছুদিন আগে ওআইসি’র পক্ষ থেকে গাম্বিয়া জেনোসাইড কনভেনশনের আওতায় জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলার শুনানি শেষে গত ২৩ জানুয়ারি রায় প্রদান করা হয়। আইসিজেতে শুনানিকালে মিয়ানমারের সর্বোচ্চ নেতা অং সান সুচি তার দেশের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেও জাতিসংঘের এই সর্বোচ্চ আদালত রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা প্রতিরোধে মিয়ানমারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আইসিজের দেওয়া ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে। একইসঙ্গে সেখানে রাখাইন নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ফলে বাংলাদেশের শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে আস্থা জোগাবে। ’
মন্ত্রী আরও জানান, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ ও ফোরামেও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যেই ঢাকায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ৫ম যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে মিয়ায়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিদ্যমান সমস্যা সামাধনে এটি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
এসকে/এইচজে