তিনি বলেছেন, সরকার এ বছর ইউআইটিএস এর প্রতিষ্ঠাতা সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে একুশে পদক সম্মাননায় ভূষিত করেছে। আমি বিশ্বাস করি, সুফি মিজানুর রহমানের বিশ্ববিদ্যালয় ইউআইটিএস উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে দেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বারিধারা জে ব্লক সংলগ্ন মধ্য-নয়ানগরে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস) এ অনুষ্ঠিত সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের একুশে পদক প্রাপ্তিতে সংবর্ধনা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে ইউজিসি চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
নবীনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তোমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। তোমরা একুশে পদকপ্রাপ্ত সুফি মিজানুর রহমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হওয়ার সুযোগ লাভ করেছ। তোমাদের সে সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। সুশিক্ষিত আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত রীনা পি সোয়েমারনো এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।
পদক প্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউআইটিএস ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ আলী হোসেন ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ও কম্পিউটার বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ও ইউআইটিএস ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান।
সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সৃষ্টির সকল সৌন্দর্য ও অর্জন মহান স্রষ্টা আল্লাহ তা’লার অপার করুনা ও মহা সৌন্দর্যের প্রকাশ। কেবল সৃষ্টি ও স্রষ্টাকে ভালোবাসার মাধ্যমেই তা প্রকাশিত হয়। পৃথিবীর সকল সম্মান ও সম্মাননার পেছনেই থাকে দীর্ঘদিনের ত্যাগ, ব্যথা-বেদনা ও অক্লান্ত পরিশ্রমের বর্ণাঢ্য অতীত। সে পথেই হয়তো আমি কিছুটা পথ পাড়ি দিয়েছিলাম।
‘যারা এ পথের খবর জেনে আজ আমাকে সম্মানিত করলেন, তাদের প্রতি বিনম্রচিত্তে গভীর ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা এবং শ্রদ্ধা জানাই। ’
নবীন শিক্ষর্থীদের ইউআইটিএস ক্যাম্পাসে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, কঠোর পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। শিক্ষা জীবন যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে জীবনে সাফল্য অনিবার্য। পার্থিব অগ্রগতির পাশাপাশি নৈতিক উন্নয়ন জাতির সার্বিক সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।
অনুষ্ঠানে অভিনন্দন পত্র পাঠ করেন ইউআইটিএসের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আ ন ম শরীফ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ভারপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মাজহারুল হক, ট্রাস্টি বোর্ডের লিগ্যাল অ্যাডভাইজার অ্যাডভোকেট ড. মো. আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া ও ইইই বিভাগের প্রধান ড. মো. মিজানুর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অভিভাবকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনাপর্ব শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড দল ‘সোল্স’ এর অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ কামরুল হাসান, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুন নাহার খান মুক্তি ও মো. মিজানুর রহমান বাবু।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এমআর/টিসি