শনিবার (২৮ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে লেখা এক চিঠিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
চিঠিতে বলা হয়, পৃথিবীর প্রতিটি দেশই আজ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং এর সংক্রমণ ঠেকাতে সীমাহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়, গণমাধ্যমে প্রচারিত সচিত্র প্রতিবেদন হতে কমিশন লক্ষ্য করছে যে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য দায়িত্ব পালনকালীন কোনো কোনো ক্ষেত্রে অপমানকর আচরণ এবং লাঞ্ছিত করছে, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
‘সম্প্রতি নভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যশোরের মনিরামপুরে মাস্ক না পরায় তিনজন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে কান ধরিয়ে দাঁড় করানোর সাজা প্রদান করেন উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান। তিনি ঘটনাটি নিজের মোবাইল ফোনে ছবি তুলে রাখেন মর্মে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। কমিশনও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জ্ঞাপন করেছে। ’
এতে আরো বলা হয়, কমিশন মনে করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীর বিরুদ্ধে এধরনের অভিযোগ অনভিপ্রেত। মানবিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে এমন কোনো সাজা প্রদান বেআইনি এবং অসাংবিধানিক। দুর্যোগের সময় পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে মানবিক আচরণের মাধ্যমে জনগণের সেবা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাষ্ট্রীয় দুর্যোগের এই মুহূর্তে জনগণকে ঘরে থাকার বিষয়ে উদ্বুদ্ধ না করে কান ধরিয়ে দাঁড় করে অপমান করার অধিকার কোনো সরকারি কর্মচারীকে দেওয়া হয়নি। সংকটের সময় খেটে খাওয়া মানুষেরা জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হলে তাদেরকে খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী প্রদানসহ সচেতন করতে হবে।
মনিরামপুরের ঘটনায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তাৎক্ষণিক গৃহীত ব্যবস্থাকে কমিশন সাধুবাদ জানিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগণের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আরও সহনশীল এবং মানবিক আচরণ প্রদর্শনের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০২০
এমআইএইচ/এমএইচএম