সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ত্রাণ কর্মকর্তা আমিনুল হক বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রোববার (২৯ মার্চ) থেকে এ ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আমিনুল হক বলেন, সর্বশেষ রোববার ১০০ মেট্রিক টন চাল ও দুই লাখ টাকা পেয়েছি। আরও ২০ লাখ টাকা নগদ অনুদান, ২০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও এক হাজার মেট্রিক টন চাল চাওয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবার পবা উপজেলার বিলনেপালপাড়া স্কুল মাঠে সাধারণ মানুষের মধ্যে জেলা প্রশাসকের তহবিল থেকে ১০ কেজি করে চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি করে ডাল ও একটি করে সাবান বিতরণ করা হয়। জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক সবার হাতে এ ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন।
অন্যদিকে, মোহনপুর উপজেলার ২ হাজার ৮০০ পরিবারের জন্য বিতরণ হচ্ছে ২৮ মেট্রিক টন চাল। বাগমারা উপজেলার ৭ হাজার ২০০ পরিবার পাবে ৭২ মেট্রিক টন চাল। দুর্গাপুর উপজেলার ৩ হাজার ২০০ পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হবে ৩২ মেট্রিক টন চাল। বাঘায় ৩ হাজার ৬০০ পরিবার পাবে ৩৬ মেট্রিক টন চাল। এছাড়া জেলার পুঠিয়া এবং চারঘাট উপজেলার ২ হাজার ৮০০ পরিবার পাবে মোট ৫৬ মেট্রিক টন চাল।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. হামিদুল হক বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। করোনার কারণে ঘর থেকে বাইরে না যেতে পারা নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য এ সরকারি সহায়তা প্রতিটি উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আরও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যত সরকারি সহায়তা আসবে পর্যায়ক্রমে তা মহানগর, জেলা ও উপজেলায় থাকা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
এসএস/ওএইচ/