এর আগে গত ৯ এপ্রিল একদিনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ১১২ জন। এরমধ্যে ঢাকার ভিতরে ৬২ জন এবং ঢাকার বাইরে ৫০ জন।
গত তিনদিনের হিসাব বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) ঢাকা শহরে দেড়গুণ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। ঢাকার বাইরে বেড়েছে ৩ দশমিক ৩ গুণ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই বৃদ্ধি ঢাকার ভিতরে প্রায় সমান। আর ঢাকার বাইরে ৩ দশমিক ৮ গুণ। অর্থাৎ বুধবারের পরে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলায় প্রায় চার গুণ রোগী বেড়েছে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। আর নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৪২৪ জন।
তিনি বলেন, ৯৪ জনের মধ্যে পুরুষ ৬৯ জন, নারী ২৫ জন। বয়স বিভাজনের ক্ষেত্রে ১০ বছরের নিচে আছে চার জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ২১ থেকে ৩০ মধ্যে ১২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরে মধ্যে ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, বাকিরা ৬০ এর অধিক বয়সের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার ভেতরে ও বাইরে মোট ভোট ১ হাজার ২৯৭টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ১৮৪টি। নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ হাজার ৩৫৯টি।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত টেস্ট কিট সংগ্রহ করা হয়েছে ৯২ হাজার। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়েছে ২০ হাজার। বর্তমানে মজুদ আছে ৭১ হাজার।
জানা যায়, এখন পর্যন্ত মোট কোয়ারেন্টিনে আছেন ১২ হাজার ৬০১ জন। আইসোলেশন রয়েছেন ১৫২ জন। আক্রান্ত ৪২৪ জনের মধ্যে ৩৬৪ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
পিএস/এএ