ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

করোনা শনাক্তের পর রাজশাহীর ৪৩ বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান লকডাউন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২০
করোনা শনাক্তের পর রাজশাহীর ৪৩ বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান লকডাউন

রাজশাহী: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় ঢাকাফেরত একজনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্তের পর ৪৩টি বাড়ি 'লকডাউন' করা হয়েছে।

তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ওই ব্যক্তি এখনও শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন। সোমবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত তার শরীরে তেমন কোনো উপসর্গই দেখা দেয়নি।

ফলে আপাতত পুঠিয়ার নিজ বাড়িতেই তাকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

রাজশাহীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ওলিউজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত হলেও ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা ভালো। তিনি সুস্থ আছেন।

স্বাস্থ্যবিভাগ সার্বক্ষণিক তার শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখছে। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় ৪৩টি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

পুঠিয়ার ইউএনও মো. ওলিউজ্জামান জানান, এলাকার এক ড্রাইভার এবং হেলপার ট্রাকে মালামাল নিয়ে ঢাকায় গিয়েছিলেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বাড়ি যাওয়ার কথা আগেই তাদের জানিয়ে রেখেছিলেন ওই দর্জি। তাই ঢাকা থেকে ফেরার পথে ওই ড্রাইভার এবং হেলপার তাকে পুঠিয়ার একটি পেট্রোল পাম্পে নিয়ে আসেন।
ট্রাকে ড্রাইভার ও হেলপারের বসার সিটের পেছনে কেবিনে শুয়ে এসেছেন তিনি। পুঠিয়ায় আসার পর একটি মোটরসাইকেলে বাড়ি পর্যন্ত যান। মোটরসাইকেলে চালকসহ আরও দুইজন ছিলেন। বাড়ি যাওয়ার পর জ্বর দেখে তার বোন ঝলমলিয়া বাজারে গিয়ে একটি ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে আনেন।  

করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশের ১৭টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। যে পেট্রোল পাম্পে তিনি নেমেছিলেন সেটিও লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তি এবং তাদের আশপাশের বাড়ি, ট্রাকের ড্রাইভার-হেলপার ও তাদের আশপাশের বাড়ি এবং ওষুধের ফার্মেসি মালিকসহ তার আশপাশের কয়েকটিসহ মোট ৪৩টি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান লকডাউন করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে ওষুধের ফার্মেসিটিও।

রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা এখনও ভালো। তাই তাকে বাড়িতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা আরও কারও সংস্পর্শে গিয়েছেন কি না সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। লকডাউনে থাকা পরিবারগুলোর কোনো সদস্যের করোনার কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই তার নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

এদিকে, পুঠিয়ার করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। তিনি ঢাকার শ্যামলীর একটি দোকানে দর্জির কাজ করতেন। হালকা জ্বর নিয়ে গত ৮ এপ্রিল তিনি ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন। তখন প্রশাসন তার হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করে। জ্বর থাকায় পরদিন করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

এরপর গতকাল শনিবার (১১ এপ্রিল) প্রথম পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। পরদিন রোববার (১২ এপ্রিল) দ্বিতীয় দফা পরীক্ষাতেও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২০
এসএস/এমকেআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।