তিনি গত কয়েক দিন আগে ঢাকার নারায়ণগঞ্জ থেকে রাজশাহীর বাগমারা ফিরেছেন।
রাজশাহী জেলার সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক সোমবার (১৩ এপ্রিল) রাতে ওই ব্যক্তির শরীরে করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, আক্রান্ত ব্যক্তি গত ৬ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে পালিয়ে আসেন। এরপর তাকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। গত ১১ এপ্রিল তার নমুনা পরীক্ষা করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের ল্যাবে পাঠানো হয়। সোমবার (১৩ এপ্রিল) নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কিন্তু তার শরীরে হালকা জ্বর ছাড়া আর অন্য কোনো উপসর্গ নেই। তাই আক্রান্ত ব্যক্তি এখন বাড়িতেই আইসোলেশনে আছেন।
সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক বলেন, ওই ব্যক্তির শরীরে কোনো উপসর্গ ছিল না। কিন্তু তিনি যেহেতু আক্রান্ত এলাকা থেকে ফিরেছিলেন সে জন্যই তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়। এতেই আজ তার করোনা শনাক্ত হয়।
আক্রান্ত ব্যক্তি যাদের সংস্পর্শে গিয়েছেন তাদের বিষয়েও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হচ্ছে যেন করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে না পারে।
এদিকে, রাজশাহীর বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, কিছুক্ষণ আগেই তারা করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর পেয়েছেন। এখন যত দ্রুত সম্ভব ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা সন্দেহজনক বাড়িগুলো লকডাউন করবেন।
এর আগে গতকাল রোববার (১২ এপ্রিল) রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়। তিনি ঢাকায় একটি দোকানে দর্জির কাজ করতেন। এই ব্যক্তিই রাজশাহী বিভাগের মধ্যে প্রথম কোনো করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি। পরপর দুইবার পরীক্ষা শেষে তার শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
কিন্তু তার শরীরেও কোনো করোনা উপসর্গ নেই। যে কারণে নিজ বাড়িতেই বর্তমানে তাকে আইসোলেশন রাখা হয়েছে। এছাড়া আশপাশের ৪৩টি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তার সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তার।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২০
এসএস/এমকেআর