আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের বগুড়াপাড়া গ্রামে। তিনি পেশায় দর্জি।
এরইমধ্যে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে ইউএনও মো. ওলিউজ্জামান ওই ব্যক্তির বাড়ির সামনে যান। উপহার হিসেবে দরজার সামনে রেখে আসেন চাল, ডাল, শাক-সবজি, তেল, মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মুড়ি, চিড়া, খেঁজুর গুড়, নতুন গামছাসহ ৩১টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।
তিনটি ডালিতে সাজিয়ে এসব নিয়ে যাওয়া হয়। ব্যাগে ছিল চাল-ডাল। ব্যাগের ওপরে কাগজে লেখা ছিলো- ‘শুভ নববর্ষ-১৪২৭। শুভেচ্ছান্তে- মো. ওলিউজ্জামান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পুঠিয়া, রাজশাহী। ’
পণ্য রাখার পর ওই বাড়ির সামনে থেকে ইউএনও মুঠোফোনে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথাও বলেন। জানান বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা। ভয় না পেয়ে তাকে মানসিক সাহস যোগানোর পরামর্শ দেন। উপজেলা প্রশাসন তার পাশেই আছে বলে আশ্বস্ত করেন।
পরে ইউএনও মো. ওলিউজ্জামান গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনায় এবার বাংলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখ উদযাপনের কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু আজকের দিনটি বাঙালির কাছে বিশেষ দিন। এ দিনে বিমর্ষ ও করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির কথা ভেবেই আমার এ ছোট্ট উদ্যোগ। ’
পুঠিয়ার এ ব্যক্তি রাজশাহী বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি। তিনি শনাক্ত হবার পরের দিন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় নারায়ণগঞ্জফেরত আরেক ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে দু’জনেরই শারীরিক অবস্থা ভালো থাকায় তাদের বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা যৌথ সমন্বয়ে তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২০
এসএস/এফএম