রোববার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টায় ডাক্তার-নার্সসহ ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর করোনা ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয় জেলা সদর হাসপাতাল। এর আগে শনিবার (২৫ এপ্রিল) এক চিকিৎসক ভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ায় জেলার চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স এবং এক চিকিৎসক ও দুই নার্স আক্রান্ত হওয়ায় লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়।
কোভিড-১৯ সংকটে জেলা সদর হাসপাতালসহ দুই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম স্থবির হয়ে যাওয়ায় জেলার ৩৩ লাখের বেশি মানুষের চিকিৎসা সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুখলেছুর রহমান উজ্জ্বল বাংলানিউজকে জানান, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জীবাণুমুক্তকরণ ও অন্য আনুষাঙ্গিক কারণে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। তবে করোনা ট্রায়াজ কর্নার ও আইসোলেশন ইউনিটের সেবা চালু থাকবে। জনস্বার্থ বিবেচনায় জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানা গেছে, ১১ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা এক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসে। এরপর ২০ এপ্রিল এক চিকিৎসক ও এক নার্সসহ ১০ জন, ২১ এপ্রিল একজন নার্সসহ দুইজন, ২২ এপ্রিল পাঁচজন, ২৩ এপ্রিল স্বাস্থ্যকর্মীসহ তিনজন, ২৪ এপ্রিল চিকিৎসকসহ পাঁচজন, ২৫ এপ্রিল চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও তিন ম্যাজিস্ট্রেটসহ আরও ২১ জন এবং সর্বশেষ ২৬ এপ্রিল আরও একজনের করোনা পজেটিভ এসেছে। সব মিলিয়ে হবিগঞ্জে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮ জন।
অন্যদিকে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যার আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের প্যাথোলজি বিভাগে কর্মরত তিনজনের মধ্যে দু’জন আক্রান্ত হওয়ায় বর্তমানে একজন করোনার নমুনা সংগ্রহের কাজ করছেন। ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই কাজটিতে ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২০
এবি