সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে রাজশাহী মহানগর ও উপজেলার সড়কে জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যরা প্রতিটি মার্কেটে টহল দিচ্ছেন।
রাজশাহীতে কাঁচাবাজার, খাবার ও ওষুধের দোকান ছাড়া বিপণিবিতান ও সব ধরনের দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন। গত ১০ মে থেকে বিভিন্ন বিপণিবিতান ও দোকানপাটগুলোতে হঠাৎ করে জনসমাগম বাড়ায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (১৮ মে) বিকেলে জেলা কোর কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, ‘মঙ্গলবার সকাল থেকে মহানগর এলাকাসহ জেলা ও উপজেলায় সব ধরনের মার্কেট, শপিংমল ও দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে। তবে কৃষিপণ্য, কাঁচাবাজার, ওষুধ ও খাবারের দোকান এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। গতকালই মহানগর এলাকা ও উপজেলা পর্যায়ে মাইকিং করে মানুষকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত মঙ্গলবার থেকে নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। জনসমাগম বাড়ায় বাধ্য হয়ে এ কঠোরতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। ’
এর আগে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ও জনস্বার্থে ঈদ পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর সব বিপণিবিতান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। গত শুক্রবার (১৫ মে) বিকেলে নগর ভবনে মেয়র দপ্তরকক্ষে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে চেম্বার অব কর্মাস ও ব্যবসায়িক নেতাদের এক বৈঠকে সবার সম্মতিক্রমে সম্মিলিতভাবে এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় রাজশাহীর সব বিপণিবিতানের দোকান-কর্মচারীদের সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মহানগরীতে জমে উঠেছিল ঈদবাজার। লকডাউন ভেঙে উপজেলা পর্যায় থেকে প্রতিদিন মানুষ কেনাকাটা করতে শহরে আসছিলেন।
প্রতিদিন সকাল থেকেই মহানগরীতে মানুষ ও যানবাহনের ভিড়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকিতে পড়েন রাজশাহীবাসী। ফলে কঠোর অবস্থানে গেলো রাজশাহী জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২০
এসএস/এফএম