ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অনলাইন শিক্ষণে শিশুদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
অনলাইন শিক্ষণে শিশুদের প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান বক্তব্য রাখছেন রাবাব ফাতিমা।

ঢাকা: করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারিকালে অনলাইন ও দূর-শিক্ষণে শিশুদের সার্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থার (ইউনিসেফ) নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি রাবাব ফাতিমা।

তিনি বলেছেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ও ইন্টারনেট সংযোগের ঘাটতি থাকায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর অধিকাংশ শিশুদের দূর-শিক্ষণ গ্রহণ একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব দেশে মাত্র ৩০ শতাংশ শিশুর এ সুযোগ রয়েছে।

তাই এই মুহূর্তে অনলাইন ও দূর-শিক্ষণে প্রবেশাধিকারের বিষয়টি হওয়া উচিৎ বৈশ্বিকভাবে সর্বোচ্চ প্রাধিকারভুক্ত বিষয়।

সোমবার (২৯ জুন) বোর্ডের বার্ষিক অধিবেশনের ভার্চ্যুয়াল উদ্বোধনী পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের প্রথম ভার্চ্যুয়াল আনুষ্ঠানিক অধিবেশনের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধনী বক্তব্যে নিবেদিত ও সাহসী প্রচেষ্টার মাধ্যমে কোভিড-১৯ সঙ্কট মোকাবিলায় বিশ্বশিশুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্বে দায়িত্বরত ইউনিসেফের কর্মীবাহিনীকেও ধন্যবাদ জানান রাবাব ফাতিমা।

বৈশ্বিক এই মহামারি মোকাবিলা ও উত্তরণে ইউনিসেফ গৃহীত কর্মসূচি যাতে সদস্য দেশগুলোর সরকার গৃহীত কর্মসূচিসমূহকে সমর্থন যোগাতে পারে এবং তা যেন সরকারি পদক্ষেপসমূহের পরিপূরক হয় সে আহ্বান জানান ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি।

তিনি বলেন, সদস্য দেশসমূহে ইউনিসেফের নিয়মিত ও অবশ্য পালনীয় যেসব কর্মসূচি রয়েছে, তা যেন কোনোভাবেই কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ইউনিসেফের কর্মসূচিসমূহের পরিপূরক না হয়।

বৈশ্বিক এই মহামারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে নিম্ন আয়ের, স্বল্পোন্নত ও আফ্রিকার দেশসমূহ যে ভয়াবহ বাস্তবতা মোকাবিলা করছে তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

তিনি বলেন, এমনকি সাধারণ হাত ধোয়ার মতো বিষয়টিও অনেক শিশুর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, কেননা পানি, পয়:নিষ্কাশন ও স্বাস্থ্য অবকাঠামোতে প্রবেশের সুযোগ থেকে এই শিশুরা বঞ্চিত। এছাড়া বৈশ্বিক মহামারির প্রেক্ষাপটে ইউনিসেফের টিকাদান কর্মসূচি স্থগিত বা হ্রাস হওয়ার ফলে কলেরা, পোলিও এবং হামের মতো প্রতিরোধযোগ্য রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটার ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে মর্মে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

কোভিড-১৯ মহামারিকে জাতিসংঘ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ‘লিটমাস টেস্ট’ হিসেবে উল্লেখ করেন ইউনিসেফ নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি।

কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও উত্তরণে ইউনিসেফ গৃহীত কর্মসূচিসমূহ যাতে জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলো গৃহীত কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

এক্ষেত্রে ইউনিসেফকে কৌশলগত নির্দেশনা প্রদান এবং বৈশ্বিকভাবে সমর্থন জোগাতে সব ধরনের সহায়তা করতে নির্বাহী বোর্ড সদাপ্রস্তুত রয়েছে বলে পুনরুল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা।

সংস্থাটির মূল কাজগুলোকে সমুন্নত রাখতে ইউনিসেফের প্রতি উদার ও অব্যাহত সহযোগিতার হাত নিয়ে এগিয়ে আসতে সবাইকে উৎসাহিত করেন তিনি।

উদ্বোধনী অধিবেশনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক মিস হেনরিয়েটা এইচ ফোর।

তিনি ইউনিসেফের কর্মসূচিসমূহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন এবং ইউনিসেফ যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তাও উল্লেখ করেন।

এরপর জাতিসংঘে নিযুক্ত সদস্য দেশসমূহের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ অন্যান্য প্রতিনিধিরা স্ব-স্ব দেশের পক্ষে বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০২০
টিআর/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।