রোববার (৫ জুলাই) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে এ বিষয়ে তিনি ও তার পরিবারের আতঙ্কের বিষয়টি তুলে ধরেন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ্যে আয়মান সাদিককে ‘মুরতাদ’ আখ্যা দিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে।
ভিডিওতে আয়মান সাদিক উল্লেখ করেন, আমি কখনো চিন্তা করিনি আমাকে এ ভিডিও তৈরি করতে হবে এবং আমার ধর্মের হিসেব দিতে হবে। কিন্তু আমার মা যখন ইউটিউবে, ফেসবুকে দেখছে তার ছেলেকে হত্যার কথা বলছে তখন আপনার কেমন লাগবে জানি না। তবে আমার বাসার পরিস্থিতি হচ্ছে কিছুক্ষণ পরপর আমি বাবা-মাকে দেখে আসছি তারা কি দেখছে। তারাও বারবার দেখছে আমি আদৌ ঠিক আছি কি-না। কারণ ফেসবুক ইউটিউব-সব জায়গায় আমাকে মেরে ফেলার জন্য বলা হচ্ছে। এমনকি শতশত না হাজার হাজার মানুষ এটি শেয়ার করছে।
তিনি বলেন, এটা করা হচ্ছে কারণ আমি আমার ধর্মের হিসেব দেইনি। যে ধর্মের হিসেব আল্লাহর কাছে দেওয়ার কথা সেটি পাবলিকলি সবার কাছে দিতে হবে? তার কারণ হলো টেন মিনিট স্কুলের ভিন দেশে থাকা ভিন বিশ্বাসী এক সাবেক কর্মী সমকামিতা নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এটার জন্য আমাকে মেরে ফেলতে হবে? ভিন দেশে থাকা, ভিন বিশ্বাসী একজনের স্ট্যাটাসের কারণে যদি আমাকে মেরে ফেলতে হয়, টেন মিনিট স্কুলকে বয়কট করতে হয় তাহলে ভিন দেশে থাকা ভিন বিশ্বাসী ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা যখন সমকামিতাতে সাপোর্ট করে তখন তো আমাদের ফেসবুককে বয়কট করা উচিত।
এ বিষয়ে সিটিটিসির এক উপ-কমিশনার (ডিসি) পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানান, আয়মান সাদিক ও টেন মিনিট স্কুলকে হুমকি দিয়ে তৈরি করা ভিডিওগুলো দেখে আয়মান সাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এই ভিডিওগুলো কারা তৈরি করছে এবং কারা ছড়াচ্ছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি বিদেশে অবস্থান করা টেন মিনিটস স্কুলের সাবেক এক কর্মী সমকামিতা সমর্থন করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এছাড়া টেন মিনিট স্কুল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয় যেখানে মেয়েদের স্বাস্থ্য শিক্ষার বিষয়ে সচেতন করা হয়। কিন্তু প্রবল আপত্তির মুখে টেন মিনিট স্কুল অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে তাদের এ ভিডিওটি সরিয়ে নেয়। পরে আয়মান সাদিক টেন মিনিটস স্কুলের ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
পিএম/এনটি