ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ মাঘ ১৪৩১, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

জমজমাট দা-বটি-ছুরির বাজার

কাওছার উল্লাহ আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২০
জমজমাট দা-বটি-ছুরির বাজার বগুড়ায় দা, বাটি, ছুরির বাজার

বগুড়া: ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বগুড়ায় শেষ সময়ে জমে উঠেছে মাংস কাটার সামগ্রীর বাজার। কেউ বটি আবার কেউবা পশু জবাই করার ছুরির জন্য ছুটে এসেছেন।

পশুর হাড় কাটার দা ও চামড়া ছাড়ানোর চাকুও দরকার অনেকের। যার যার প্রয়োজন অনুযায়ী দা-বটি-ছুরি কিনছেন ক্রেতারা।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শহরের রাজাবাজার এলাকার রেল ঘুমটির পাশে দেখা যায় ভিড় ঠেলে পছন্দের ছুরি, দা, বটি, চাকু বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। পছন্দ হলে ও দরদামে মিলে গেলে তা কিনছেন।

বগুড়ার শহরের কাঠালতলা ও রাজাবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় স্থায়ী ও ঈদ কেন্দ্রিক গড়ে ওঠা দা, বটি, ছুরি ও চাকুর দোকানে আসা জাহিদুল ইসলাম, শামসুল শেখ, কামরুজ্জামানসহ একাধিক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, ঈদুল আজহা সন্নিকটে। ইতোমধ্যেই সাধ্য অনুযায়ী অনেকেই পশু কেনার কাজটি সম্পন্ন করেছেন। আবার পশু কিনতে অনেকেই এক হাট থেকে আরেক হাটে ছুটে বেড়াচ্ছেন। এর মধ্যেই সময় করে পশু জবাই থেকে শুরু করে হাড়-মাংস কাটার সামগ্রী কিনতে দোকানে দোকানে ঘুরছেন তারা।

ক্রেতারা জানান, শেষ বেলায় এসে এসব সামগ্রী কেনাকাটা করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছিলো তাদের। কেননা দাম দরে ঠিকমত বনিবনা হচ্ছিলো না অনেকেরই। এদিকে হাতেও তেমন একটা সময় নেই। মাঝে রয়েছে আর মাত্র একদিন।

হাসান, ইদ্রিস আলীসহ একাধিক বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, বছরের এ সময় ছাড়া সারা বছর এসব সামগ্রী তেমন একটা বেচাবিক্রি হয় না। বিক্রি হয় বটি, নারিকেল ছোড়ার খুনতি, মাছ কাটার দা। তবে ঈদুল আজহার আগে কোরবানি পশুর মাংস কাটার জন্য লোহার তৈরি নানা ধরনের সামগ্রী কিনতে আসছেন ক্রেতারা।

মিন্টু মিয়া বাংলানিউজকে জানান, কোরবানির পশু জবাই করার ছুরি ও হাড় কাটার দা কম বেশি অনেকের ঘরেই যত্ন করে রাখা আছে। তারপরও এগুলোর চাহিদা ব্যাপক।

তিনি জানান, প্রতিটি বড় মাপের ছুরি ৩০০-৫৫০ টাকা, চামড়া ছাড়ানোর চাকু ২০-৫০ টাকা, বিভিন্ন মাপের দা ৩৫০-৭০০ টাকা, বটি ১৫০-৪৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২০
কেইউএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।