কক্সবাজার: মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার পর পুলিশের দাযের করা মামলায় অভিযুক্ত স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের জামিন শুনানি সোমবার। জামিনের বিষয় নিয়ে আশাবাদী হলেও যেহেতু সিনহা হত্যাকাণ্ডের সময় সিফাত ঘটনাস্থলে ছিলেন সে কারণে সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছে তার পরিবার।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহিরছড়া পুলিশ চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা। এ সময় তার সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছিলেন সিফাত। পুলিশের মামলায় সিফাতের বিরুদ্ধে পরস্পর (সিনহা ও সিফাত) যোগসাজশে সরকারি কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশে অস্ত্র তাক করা ও মৃত্যু ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। এবং ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়াও সিনহা-সিফাতরা যে রিসোর্টে উঠেছিলেন, সেখান থেকে শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিনকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রাকে মাদক মামলায় গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। প্রায় ১০ দিন পর রোববার শিপ্রাকে জামিনে মুক্তি দেন আদালত।
সিফাতের আইনজীবী মাহবুবুল আলম টিপু বাংলানিউজকে জানান, সিফাতের জামিন এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তনের জন্য আদালতে আমরা আবেদন করেছিলাম। শুনানির জন্য সোমবার ( ১০ আগস্ট) আদালতের ধার্য্য দিন রয়েছে। আমরা আশাবাদি আদালত অবশ্যই সিফাতের জামিন মঞ্জুর করবেন।
অন্যদিকে সিফাতের নিরাপত্তা নিয়ে গণমাধ্যমকে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তার মামা মাসুম বিল্লাহ। তিনি বলেছেন, ‘জামিন হয়ত হয়ে যাবে। কিন্তু জামিন পেলে পরবর্তীতে কী হবে, সেটা নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। সার্বিক নিরাপত্তা নিয়েই আসলে আমরা উদ্বিগ্ন। ’
উল্লেখ্য ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র বানাতে কক্সবাজারে ছিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সাহেদুল ইসলাম সিফাত, শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত।
গত ৩১ জুলাই রাতে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে টেকনাফ থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে হিমছড়িতে আসছিলেন মেজর (অব.) সিনহা। ওই গাড়িতেই ছিলেন সিফাত। বাহারছড়া পুলিশ চেকপোস্টে গাড়ি থামালে গাড়ি থেকে নেমে আসেন সিনহা ও সিফাত। সেখানে পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে সিনহা মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। সেখানে সিফাতকে আসামি করা হয়। এ মামলায় কারাগারে আছেন সিফাত।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২০
এসবি/আরএ