ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সিনহা হত্যায় গ্রেফতার তিন সাক্ষীর সংশ্লিষ্টতা মিলেছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
সিনহা হত্যায় গ্রেফতার তিন সাক্ষীর সংশ্লিষ্টতা মিলেছে গ্রেফতার তিন সাক্ষী

ঢাকা: মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ডে পুলিশের দায়ের করা মামলার তিনজন সাক্ষীর জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। প্রাথমিক তদন্তে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া তিন সাক্ষীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।

বুধবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় র‌্যাব সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

তিনি বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) মো. নুরুল আমিন, আয়াছ উদ্দিন ও নিজাম নামে তিনজন সাক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়। তারা পুলিশে দায়ের করা মামলার সাক্ষী ছিলেন। এরপর তাদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে উপস্থাপন করলে প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

আশিক বিল্লাহ বলেন, তুলে আনার বিষয়ে টেকনাফ থানায় আসামি নুরুল আমিনের মা যে মামলাটি করেছেন সেই মামলার বিষয়েও বিভিন্ন গণমাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত প্রকাশিত হয়েছে। সেগুলো নিয়েও আদালত একটি আইনসম্মত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

এই তিনজনের মধ্যে একজন কমিউনিটি পুলিশের সদস্য, তিনি আগেই পুলিশ ফাঁড়িকে খবরা-খবর দিয়েছিলেন। একজন এই হত্যার বিষয়ে আগে থেকেই জানতেন। তারা হত্যাকারীদের সহযোগিতা করেছেন বলে তথ্য-প্রকাণ থাকার কারণে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

পুলিশের দায়ের করা মামলায় তিন সাক্ষীকে গ্রেফতার করা হলো কীসের ভিত্তিতে? জানতে চাইলে আশিক বিল্লাহ বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত করছে র‌্যাব। র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা পূর্বের তদন্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে মামলার নথিপত্র ও আলামতসহ সামগ্রিক বিষয়ে বুঝে নিয়েছেন। তদন্ত কর্মকর্তা মনে করেছেন এই মামলার তিন স্বাক্ষী মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আসামিদের সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের গ্রেফতার করেছেন।

সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে র‌্যাব-পুলিশের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্বের আশঙ্কা রয়েছে কিনা? জানতে চাইলে লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ডের মামলাটি অনেক স্পর্শকাতর। এই মামলা দিয়ে কোনো ধরনের অসহযোগিতা বা পারস্পরিক সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। র‌্যাব অত্যন্ত পেশাদারিত্ব ও স্বচ্ছতার সঙ্গে এই মামলার তদন্ত করছে। র‌্যাব শুধু হত্যাকেন্দ্রিক যে মামলাটি হয়েছে সেটির তদন্ত করছে।

তিনি বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা তার কার্যক্রমের শুরুতেই সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলবেন। ইতোমধ্যে সিফাত ও শিপ্রার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে, এরপর পর্যায়ক্রমে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, সিনহা হত্যার ঘটনা কেন্দ্রিক ফোনালাপ ও ভিডিও ফুটেজসহ সকল ধরনের তথ্য ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো আমলে নিয়ে যাচাই-বাছাই করে তদন্ত কর্মকর্তা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।

তিনি বলেন, এই মামলার প্রকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদের খুঁজে বের করা। হত্যার মোটিভ উদ্ধার করা। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিমূলক খবর প্রচার করা হচ্ছে। এই বিষয়টি র‌্যাবের নজরে এসেছে। র‌্যাব যে কোনো সংবাদ প্রচারের আগে তার বস্তুনিষ্ঠতা ও নিরপেক্ষতা যাচাই করার অনুরোধ জানাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
এসজেএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।