ঢাকা: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবসনের জন্য রাজনৈতিক উদ্যোগ অধিকতর জোরদার করার জন্য জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক এনজিও এবং সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সুশীল সমাজ।
তারা বলেন, কক্সবাজার জেলা এমনিতেই জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক নানা প্রভাবে আক্রান্ত একটি এলাকা।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) কক্সবাজারে কর্মরত প্রায় ৫০টি স্থানীয় এনজিওর নেটওয়ার্ক সিসিএনএফ বিশ্ব মানবিকতা দিবস উপলক্ষে ‘কোভিড ১৯ এর সম্মুখযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা: সংহতি এবং বৈচিত্র্য’ শীর্ষক এ ভার্চ্যুয়াল সেমিনারে বক্তারা একথা বলেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে স্থানীয় জনগণ রাজনৈতিকভাবে তেমন অগ্রগতি না দেখে হতাশ। তহবিল সংগ্রহের জন্য প্রচেষ্টা না করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের জন্য সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করতে হবে। প্রকল্প গ্রহণে সরকারকে কমপক্ষে ১২ মাসের জন্য প্রকল্প অনুমোদন দিতে হবে।
তারা আরো বলেন, করোনায় সমস্যা আরও বেড়েছে। অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংকট আরও প্রকট হচ্ছে। এজন্য করোনা সংকটে প্রথম সাড়াদানকারী হিসেবে স্থানীয় এনজিওগুলিকে অধিকতর অর্থায়ন করতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের এই নাগরিকদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন হতে পারে মানবতাবাদের সর্বোত্তম উদাহরণ। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ১২৯টির মতো এনজিওর প্রায় ১৬ হাজার কর্মী মাঠ পর্যায়ে কর্মরত। এদের মধ্যে প্রায ১ হাজার জন সম্মুখ যোদ্ধা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
সেমিনারের সঞ্চালক আবু মোর্শেদ চৌধুরী ও রেজাউল করিম চৌধুরী, কোভিড সংকট মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগিতা করায় আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশেষত ইউএনএইচসিআর এবং আইওএম-এর প্রশংসা করেন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক রাশেদুল ইসলাম। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্টের বাংলাদেশ প্রতিনিধি আজমাত উল্লাহ। অতিথি হিসেবে অংশ নেন অতিরিক্ত আরআরআরসি শামসুদ্দোহা, ইউএনএইচসিআর’র প্রতিনিধি কেএফায়েত মোস্তফা, আইওএম’র ড. সামির হালদার ও আইএসসিজি থেকে মি. সৈকত। সেমিনারটি পরিচালনা করেন সিসিএনএফ’র কো-চেয়ার আবু মোর্শেদ চৌধুরী ও রেজাউল করিম চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২০
জিসিজি/এএ