ঢাকা, বুধবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ইউএনওর ওপর হামলাকারী কারা, দ্রুতই জানা যাবে: ফরহাদ হোসেন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০
ইউএনওর ওপর হামলাকারী কারা, দ্রুতই জানা যাবে: ফরহাদ হোসেন সংবাদ সম্মেলন/ ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার জট অতি অল্প সময়ের মধ্যে খুলবে আশা করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, আমরা অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ওই উপজেলায় নিজের সরকারি বাংলোয় হামলার শিকার ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে গুরুতর অবস্থায় বর্তমানে রাজধানীর নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা। এয়ার অ্যম্বুলেন্সে রংপুর মেডিক্যাল থেকে বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।

বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৩১ ব্যাচের কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার ঘটনার পর বৃহস্পতিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে আসেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ। এসময় জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, সে (ইউএনও) বেশ সিরিয়াস পর্যায়ের রোগী। কারণ, আক্রান্ত খুব ডেপথ হয়েছে। আমাদের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার তার বাসায় অবস্থান করছে।  আমরা কিছুক্ষণ আগে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি, আমাদের সচিব কথা বলেছেন। বিষয়টি কী হয়েছে এবং এই দুর্বৃত্তরা কারা সে বিষয়ে এসপি বললেন, আমরা খুব দ্রুত দুর্বৃত্তদের নাম-ঠিকানা সব বের করতে পারবো। তারা আশাবদী খুব।

‘অতি অল্প সময়ের মধ্যে আশা করি জটটা খুলবে এবং আমরা অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ’

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাসায় সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল কিন্তু তারা মুখোশ পরা ছিল। যে দুজন দুর্বৃত্ত, তাদের মুখে মুখোশ ছিল এবং সেগুলো দেখে পর্যালোচনা চলছে, ওখানে হাই পাওয়ার টিম কাজ করছে। পুলিশের চৌকশ একটি টিম কাজ করছে। তারা আশাবাদী যে খুব দ্রুত আমাদের জানাতে পারবেন কারা এই ঘটনাটা ঘটিয়েছে। আমরা অপেক্ষা করছি।

‘নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াদিহা খানমকে সব থেকে ভালো চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা যেন যায় সে চেষ্টা করছি, এক্ষেত্রে নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল সবথেকে ভালো। যা যা করা প্রয়োজন আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সেটি করছি। একটু অপেক্ষা করতে হবে দুর্বৃত্তরা করা। তারা কী ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেছিল নাকি উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো কারণে শত্রুতা তৈরি হয়ে এ রকম কিছু হয়েছিল কি-না। আমি ডিসিকে ডিজ্ঞেস করেছি শত্রুতাবশত এ রকম কিছু হয়েছিল কিনা, তিনি বলেছেন, এ ধরনের কোনো কিছু অবহিত করেননি। আশা করি আমরা সিটিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে, তার পিতাও কিন্তু আহত, শত্রুতাবশত মনে করলে সে একা আক্রান্ত হত। কিন্তু তার পিতাও আক্রান্ত হয়েছেন। ডাকাতির উদ্দেশ্যে বা এ রকম কিছুও হতে পারে। আমরা অপেক্ষা করছি, অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে বিষয়টি দেখছি। অতি অল্প সময়ের মধ্যে আশা করি জটটা খুলবে এবং আমরা অত্যন্ত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তার তিন বছর বয়সী একটি সন্তান আছে, সে অক্ষত এবং স্বামী রংপুরের পীরগঞ্জ এলাকায় ইউএনও। ’

পারিবারিক শত্রুতা কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, পারিবাহিক শত্রুতা মনে হচ্ছে না, তবে তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমরা জিজ্ঞাস করেছি, কোনোকিছু খোয়া গেছে কিনা, এখনও জানা যাচ্ছে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টির চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে।

হামলার পরে স্থানীয় সংসদ সদস্যও তার বাসায় গিয়ে বলেছেন- ডাকাতির জন্য নয়, মেরে ফেলার জন্য হামলা করা হয়েছে- এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, তার এ কথা তদন্ত কাজে সহায়তা করবে। তিনি তো ওই এলাকার সিচ্যুয়েশন ভালো জানেন।

আরও পড়ুন>> এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে ঘোড়াঘাটের ইউএনওকে

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২০
এমআইএইচ/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।