ঢাকা, বুধবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ইউএনওর অবস্থা সংকটাপন্ন, ৭ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০
ইউএনওর অবস্থা সংকটাপন্ন, ৭ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড হাসপাতালে ভর্তি ইউএনও ওয়াহিদা খানম, ইনসেটে ওয়াহিদা খানমের ফাইল ফটো

ঢাকা: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। এ অবস্থায় তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

ইতোমধ্যে তার চিকিৎসায় মেডিসিন বিভাগ ও নিউরো ট্রমা বিভাগের সমন্বয়ে সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. জাহেদ হোসেন।

জাহেদ হোসেন জানান, ওয়াহিদা খানম আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার চিকিৎসায় গঠন করা হয়েছে সাত সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড।

জানা গেছে, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তার মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তার মাথার হাড় ভেঙে মস্তিষ্কে ঢুকে গেছে। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হলে অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বর্তমানে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার মতো অবস্থাও নেই।

এর আগে বিকেল সোয়া তিনটার দিকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তাকে।

এরপর বিকেলে ইউএনওর চিকিৎসার খোঁজ নিতে হাসপাতালে আসেন জনপ্রশাসনের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউস, স্বাস্থ্যসচিব মো. আব্দুল মান্নান, বিসিএস সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এলজিআরডি সচিব হেলাল উদ্দিন ও অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি ও স্থানীয় সরকারের এডিশনাল সেক্রেটারি মেসবাহ উদ্দিন।

ইউএনও ওয়াহিদা খানম নিজের সরকারি বাসভবনে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন। বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা তার বাসায় ঢুকে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি জাতীয় কিছু একটা দিয়ে ইউএনও এবং তার বাবার ওপর হামলা চালায়। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

গুরুতর অবস্থায় ইউএনওকে প্রথমে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঠিক কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে, তা এখনও জানা যায়নি। হামলার সময় বাসভবনে ইউএন ও তার বাবা অমর আলী অবস্থান করছিলেন।

এ সময় ইউএনওর চিৎকারে সরকারি কর্মচারী ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২০
পিএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।